আমরা বলতে চাই ‘কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয় আমরা কথা বলতে চাই না; এটি কোর্ট করবে’ বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, যদি মনে হয় বাংলাদেশের ইতিহাসে তাদের বর্বচিত হত্যা, আর লুটের মধ্যে দিয়ে যদি কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয় বা নিষিদ্ধ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অথবা জনগণের রায় ভোটের মাধ্যমে যে সরকার গঠন হবে তারা এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে
শনিবার (১০ মে) বেলা ১১টার জেলা শিল্পকলা একাডেমী কক্ষে বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট পিরোজপুর সদর উপজেলার ত্রি-বার্ষিক সম্মলন উপলক্ষে পিরোজপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির আহবায়ক মো. শাহ আলম এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা যারা শিক্ষক ঐক্যজোটের নেতৃত্বে চাকরি জাতীয়করণ করার দাবি সারা বাংলাদেশ ঘুরিয়ে বেরিয়েছি, পুলিশের হাতে আহত হয়েছি। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বারবার আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে তারপরও আমরা পিছপা হয়নি। আমাদের অর্জন শিক্ষাঙ্গনে ব্যাপকতা পেয়েছে। আমাদের দাবি, মর্যাদা নিয়ে লড়াই করেছি দীর্ঘ ১৭ বছর। জাতীয়তাবাদী শক্তির সঙ্গে শিক্ষকদের ভাগ্য জড়িত। আমাদের মহান শিক্ষক শহীদ জিয়াউর রহমান প্রথম বাংলাদেশের শিক্ষকদের মর্যাদা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সতের বছর আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের কলঙ্কজয় অধ্যায় একজন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়ে প্রধান শিক্ষককে বলে মাস্টর কখন এসেছো। নির্লজ, জাতির লজ্জা আমরা যদি সত্য কথা বলতে যাই, তাহলে আমাদের মাথায় কাঁদা, ময়লা দিয়ে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। দেশে যে মবজ্যাস্টিযের নামে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অপবাদ আমরা এটা রুক্ষে দিতে চাই। হুটহাট করে যেকোনো শিক্ষক এক ধরনের ট্যাগ লাগিয়ে তার কাছ থেকে সুবিধা আদায়ের বিরুদ্ধে আমরা রুক্ষে দিতে চাই।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বললেন তারা জাতীয়করণ করতে পারবে না। নির্বাচিত সরকার জাতীয়করন করবে।
এসময় বক্তব্য দেন- পিরোজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ রিয়াজউদ্দিন রানা, শিক্ষক ঐক্যজোট পিরোজপুর জেলা শাখার আহবায়ক গাজী মো. শাহাজাহান, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির জেলা আহবায়ক মো. আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মো. আসাদুজ্জামান খান, শিক্ষক সমিতির জেলা আহবায়ক মোহাম্মদ এনায়েত কবির খান, সদস্য সচিব মো. বাদশা মিয়া প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে