নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় বিলের মধ্য থেকে সালমান খন্দকার (২৬) নামে এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার নোয়গ্রাম ইউনিয়নের কাউলিডাঙ্গা বিল থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
সালমান খন্দকার নামে ওই যুবক পেশায় বালু ব্যবসায়ী ছিলেন, উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের শামুকখোলা গ্রামের খাজা খন্দকার ও রাশিদা বেগম দম্পত্তির ৩ ছেলের মধ্য তিনি মেজো সন্তান। সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় মা রাশিদা বেগমসহ স্বজনেরা।
সরেজমিনে নিহত সালমানের বাডিতে গেলে তার মা রাশিদা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে ঝিনাইদাহ গিয়েছিল আমার বেটা সালমান, বিকেলে বাড়ি ফিরে গোসল সেরে খাতি চায়। পরে তারে খাতি দিলি খাওয়া শেষে সে বাজারে চলে যায়। সন্ধায় বাড়ি আইসে আমারে কয় রাতে ভাত খাব নানে পিকনিক করব সেই জায়গা খাবানি, বলে চলে আবারও বাড়ির থেকে চলে যায়। এরপর আর বাড়ি আসেনি। সকালে (শুক্রবার) খবর পাই আমার বেটার লাশ বিলির মদ্দি পইড়ে আছে। আমার বেটারে যারা মারিছে আমি তাগের ফাঁসি চাই।
নিহত সালমানের প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানান, সালমানকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই। এঘটনার সুষ্টু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওয়াতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় ও স্বজন সূত্রে জানা গেছে, সালমান খন্দকার ও তার বন্ধুরা বৃহস্পতিবার গভির রাত পর্যন্ত উপজেলার রামকান্তপুর মধুমতি নদীর পাড়ে পিকনিক করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় এরপর থেকে সে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তার মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। শুক্রবার সকালে উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের কাউলিডাঙ্গা বিলের মধ্য থেকে সালমানের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে

