মিরসরাইয়ে স্বামীর পাশবিক নির্যাতনে স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের নাম সাহেলা আক্তার (৩৮)।
তিনি উপজেলার মিরসরাই ৯ নম্বর সদর ইউনিয়নের মোটবাড়িয়া গ্রামের দিদারুল আলমের স্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
ঘটনা পর থেকে স্বামী দিদারুল আলম পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের ভাই শাহ মোজ্জামেল বাদী হয়ে দিদারুল আলমকে আসামি করে মিরসরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত সাহেলা আক্তারের ৩ মেয়ে রয়েছে।
নিহত সাহেলা আক্তারের ভাই শাহ মো. মোজ্জামেল বলেন, প্রায় ২১ বছর আগে আমার বোন সাহেলা আক্তারের সঙ্গে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের মোটবাড়িয়া গ্রামের সামসুল আলমের ছেলে দিদারুল আলমের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে দিদার আমার বোনকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। একাধিকবার সামাজিকভাবে বৈঠক করা হয়। কিন্তু নির্যাতনে মাত্রা কমেনি, বরং আরও বেড়েছে।
সর্বশেষ গত ৬ মে আমার বোনকে শারীরিক নির্যাতন করে। খবর পেয়ে আমরা উদ্ধার করে মিরসরাই সদরের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসক তার মাথার নার্ভ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসি। পরের দিন একই স্থানে আবার আঘাত করে দিদার।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
এ সময় আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার বোনের মৃত্যু হয়। আমি দিদারুল আলমকে আসামি করে মিরসরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছি। আমার বোনের খুনি দিদারুল আলমের ফাঁসি চাই।
মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক মো. ইব্রাহীম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মোটবাড়িয়া গ্রামে সাহেলা আক্তার নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে তার স্বামীকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামি দিদারুল আলম পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস