কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে দুর্গম পাহাড়ের বনে মাদক নির্মূল ও অপহরণ প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, নৌ-বাহিনী, এপিবিএন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও বন বিভাগের ৪৬৭ সদস্যের যৌথ বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে টেকনাফের রঙ্গীখালী পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযানে যায় যৌথবাহিনী।
বিজ্ঞাপন
অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে দুই হাজার ৫০টি ইয়াবা, ১০০ গ্রাম গাজা, দু’টি এলজি, একটি ওয়ান শুটার গান, ১১টি গুলি, একটি অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ, চারটি রামদা, দু’টি ছুরি, একটি চাকু, তিনটি কিরিচ।
অভিযান শেষে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল হাসান বলেন, গত তিন মাসে কক্সবাজার জেলায় চল্লিশটির মতো অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ৩০টির মতো ঘটনা শুধু দুই উপজেলা টেকনাফ ও উখিয়াতে সংঘটিত হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে - উপজেলা দু’টিতে অপহরণকারীরা সাধারণত ভিকটিমদের উখিয়ার জালিয়াপালং, শামলাপুর, কুটুমগুহা এবং টেকনাফের রঙ্গীখালী, আলীখালী ও জালিয়াপাড়ার গহীন অরণ্যে রাখে। ওই এলাকাগুলো দুর্গম হওয়ায় সন্ত্রাসী ও ডাকাতরা নিরাপদ আশ্রয় মনে করে।
এই গহীন এলাকা থেকে তাদের আস্তানা সমূলে ধ্বংস এবং মাদকের রুট বন্ধ করার জন্য আমরা র্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর চার শতাধিক সদস্য নিয়ে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করি। এ অভিযানে র্যাবের পাশাপাশি সব বাহিনীর সদস্য, যেমন সেনাবাহিনী, বিজিবি, এপিবিএন, পুলিশ এবং বন বিভাগের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। সাঁড়াশি অভিযানে আমরা সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত কয়েকটি অস্থায়ী টংঘর ও কটেজের সন্ধান পাই। তিনি আরও বলেন, আমরা অভিযান পরিচালনা করে বার্তা দিয়েছি। আমরা এখন পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি।
এছাড়াও ৩০ জনের একটি তালিকা তৈরির কথাও জানান অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাবের এই কর্মকর্তা। তাদের গ্রেফতারে পাহাড়ে ফের অভিযানের কথাও জানান তিনি।
এই অভিযানে ড্রোন ওড়ানোসহ দুই-একটি টংঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ছবি-ফুটেজ সরবরাহ করা হয় র্যাবের পক্ষ থেকে। এলাকাগুলো যেন পুনরায় সন্ত্রাসী ও ডাকাতদের নিরাপদ আশ্রয় না হতে পারে, সেজন্য নিয়মিত এখানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হবে বলেও জানিয়েছে র্যাব।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এমইউ