মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ঢাকা

বেতন না পেয়ে সিইপিজেডে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৮ মে ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম

শেয়ার করুন:

বেতন না পেয়ে সিইপিজেডে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

তিন মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) অবস্থিত থিয়ানিস অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সিইপিজেডের ২ নম্বর সড়কের মূল ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। ফলে সিইপিজেডে বাইরে থেকে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারেনি। ভেতরে থাকা পণ্যবোঝাই ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনও আটকা পড়ে। এতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হয়।


বিজ্ঞাপন


সিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুস সোবহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কারখানাটির বর্তমানে কোনো উৎপাদন বা রপ্তানি কার্যক্রম নেই এবং এটি বন্ধ রয়েছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুর রহমান খান গত মার্চ মাস থেকে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেননি।

সর্বশেষ গতকাল বুধবার মার্চ মাসের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি তা দিতে পারেননি। তিনি আগামী সোমবারের মধ্যে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে শ্রমিকরা চাইছেন, মালিকপক্ষ সামনাসামনি এসে ব্যাখ্যা দিন। কারণ, এর আগেও পাঁচবার নির্ধারিত তারিখে বেতন দেওয়ার কথা বললেও তা দেওয়া হয়নি। ফলে এখন বেপজা অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা।

তিনি আরও জানান, কারখানাটিতে প্রায় ৮০০ শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। সকাল থেকেই শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে প্রথমে বেপজা কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে সিইপিজেডের মূল ফটক বন্ধ করে সেখানে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।

থিয়ানিস অ্যাপারেলসের স্যাম্পল মেকার মো. জাহিদ বলেন, ‘আমরা তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। রমজান ও ঈদের সময়ও বেতন-বোনাস কিছুই দেওয়া হয়নি। একবার ২০ এপ্রিল, পরে ২৪ এপ্রিল, এরপর ৫ মে বেতন দেওয়ার কথা বলেও আমাদের শুধু ঘোরানো হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল (বুধবার) বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষের কোনো খোঁজ নেই। কারখানায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে আজ রাস্তায় নামতে হয়েছে।’


বিজ্ঞাপন


শিল্পাঞ্চল পুলিশের চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘কারখানাটি মার্চ মাস থেকে বেতন দিচ্ছে না। গত বুধবার পর্যন্ত পাঁচবার সময় নিয়েছে, কিন্তু কোনো বেতন দেয়নি। এতে ৭০০ থেকে ৮০০ শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমরা এবং বেপজা কর্তৃপক্ষ একাধিকবার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কখনও তিনি কল রিসিভ করেন না, কখনও সময় দেন, আবার কখনও শুধু সময় নিয়েই আর আসেন না। সর্বশেষ জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছে। তবে শ্রমিকদের বেতনের সঙ্গে এই ব্যক্তিগত ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করছেন কিনা, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। শ্রমিকরা ইপিজেডের মূল ফটক বন্ধ করে রেখেছে। আমাদের টিম এবং সেনাবাহিনী সেখানে উপস্থিত আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।’

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর