সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ঢাকা

চাঁদপুরের ট্রাকরোডের নির্মাণকাজ শেষ, জনমনে স্বস্তি

জেলা প্রতিনিধি, নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁদপুর
প্রকাশিত: ০৮ মে ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম

শেয়ার করুন:

চাঁদপুরের ট্রাকরোডের নির্মাণকাজ শেষ, জনমনে স্বস্তি

খুবই ভোগান্তির মধ্যে ছিলেন চাঁদপুর শহরের ট্রাকরোড এলাকার বাসিন্দারা। শহরের মিশন রোড রেলক্রসিং থেকে শুরু হয়ে বিআইডাব্লিউটিএর মোড় পর্যন্ত সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২২ সালে। ধীরগতির কাজে ক্ষোভ দেখা দেয় এলাকাবাসীর মধ্যে। অবশেষে গেল এপ্রিল মাসে এই সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। দেরিতে হলেও এখন স্বস্তি মিলেছে এই সড়কে চলাচলকারী যানবাহন চালক, পথচারী ও এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, শহরের মিশন রোড রেলক্রসিং থেকে শুরু হয়ে বিআইডাব্লিউটিএর মোড় পর্যন্ত ট্রাক রোডের ১ হাজার ৬০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ও ৬ মিটার ডেন্স কার্পেটিং কাজের জন্য বরাদ্দ হয় এক কোটি টাকা। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বরাদ্দ থেকে এই কার্পেটিং কাজের বাস্তবায়ন করে জেলা পরিষদ।


বিজ্ঞাপন


তবে এই সড়কের কাজ শুরু হওয়ার কিছুদিন পরে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সড়কের এক পাশের ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এই কাজ করতে গিয়েও পাশের বাসিন্দাদের দখলে থাকা পৌরসভার সম্পত্তির স্থাপনা ভেঙে দখলমুক্ত করা হয়। এই নিয়ে পার হয়ে যায় এক বছর। এরপর বিদ্যুতের খুটির মধ্যে পড়ে ড্রেন। সেগুলো না সরাতে পেরে ওই বিদ্যুতের খুটিসহ ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়ে সবশেষে। এরই মধ্যে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। পালিয়ে যায় চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান। কয়েকমাস পরে নিয়োগ হয় পৌর প্রশাসক। তারপরও আবার কাজের গতি ফিরে।

ট্রাক রোডের কার্পেটিং কাজ শেষ হওয়ার পর কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা, যানবাহন চালক ও ব্যবসায়ীদের সাথে। তারা জানালেন দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কথা।

এই রোডের বটতলার ওষুধ ব্যবসায়ী ও শিক্ষক মোস্তাফা কামাল বলেন, সড়কটি নির্মাণ কাজ আগের চাইতে ভালো হয়েছে। তবে এই সড়কে যেহেতু ট্রাক চলে আরও উন্নতমানের সড়ক হওয়ার দরকার ছিলো।

অটোরিকশা চালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সড়কটি দীর্ঘ কয়েক বছর ভাঙা থাকায় খুবই কম আসা হয়েছে। তবে এখন খুবই সুন্দর হয়েছে সড়কটি।


বিজ্ঞাপন


একই এলাকার ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ টিটু ও নয়ন বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকানের মালামাল বেশ কয়েকবার পরিষ্কার করা লাগত। সেই ভোগান্তি থেকে রেহাই পেয়েছি। দেরি হলেও সড়কের নির্মাণ কাজ হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করছি।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয় সড়কটির নির্মাণ কাজ নিয়ে। তারা বলেন, আগের তুলনায় নির্মাণ কাজ ভালো হয়েছে। এবার দীর্ঘদিন সড়কটি বার বার গর্ত হয়েছে এবং মেরামত হয়েছে। ভারি যানবাহন চলার কারণে ওইসব গর্তগুলো স্পষ্ট হয়েছে। যে কারণে কার্পেটিং কাজ করা সহজ হয়েছে।

তারা আরও বলেন, সড়কটি নির্মাণের আগে এলাকার শিশু শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বয়সের লোকজন ধুলাবালিতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ধুলাবালির কারণে সড়কের পাশের ভবন ও গাছের পাতার রঙও পরিবর্তন হয়ে যায়। নির্মাণ কাজ শেষ করায় পৌর কর্তৃপক্ষের কাছ আমরা কৃতজ্ঞ।

চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. গোলাম জাকারিয়া এই বিষয়ে বলেন, ট্রাকরোডের নির্মাণ কাজ ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। পানির লাইনের জন্য শেষ অংশে অল্প জায়গার কার্পেটিং হয়নি। রহমতপুর আবাসিক এলাকায় কাজের সময় সেখানে কার্পেটিং হবে। পৌরসভা পান্ডে আপাতত সড়ক সংস্কারের জন্য টাকা নেই। অর্থের যোগান হলে বাকি সড়কগুলো পর্যায়ক্রমে সংস্কার হবে।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর