টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে তোতা মোল্লা নামে ওয়ার্ড বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার (৭ মে) ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভূঞাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম।
বিজ্ঞাপন
অভিযুক্ত তোতা মোল্লা উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, উপজেলার কুঠিবয়ড়া গ্রামে গত শুক্রবার বিকেলে ভুক্তভোগী নারী বাড়িতে রান্না করছিলেন। তিনি একাই ছিলেন। এই সুযোগে প্রতিবেশী বিএনপি নেতা তোতা মোল্লা বাড়িতে ঢুকে কথা বলার একপর্যায়ে ওই নারীকে জড়িয়ে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
এ সময় ভুক্তভোগী নারীর ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান তোতা মিয়া। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকায় কাজ করেন। বাড়িতে আমি ও শাশুড়ি থাকি। ঘটনার দিন শাশুড়ি তোতা মোল্লার বাড়িতে কাজে গিয়েছিলেন। এ সুযোগে তিনি বাড়িতে ঢুকে কথা বলার একপর্যায়ে আমাকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। আমি ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যান।’
বিজ্ঞাপন
ওই নারীর দাবি, ‘মামলা করার পর থেকেই নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন তোতা মিয়া। এতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
ভুক্তভোগীর শাশুড়ি বলেন, ‘বাড়িতে কেউ না থাকায় একা পেয়ে ছেলের বউয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে আমার চাচাতো ভাই। ভাগনের স্ত্রীর সঙ্গে কীভাবে এমন আচরণ করতে পারে!’
তার দাবি, ‘ঘটনার পর বাড়িতে হামলা করেছে তোতা মিয়া। সে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পায় না। আমি তার শাস্তি দাবি করছি।’
অন্যদিকে অভিযুক্ত তোতা মোল্লা বলেন, ‘অভিযোগ করতেই পারে। ঘটনাটি মীমাংসার জন্য বলা হলেও তারা বসেনি। তাই মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বাবার চায়ের দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, ‘ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
এএইচ