রাজশাহীর চারঘাটে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি প্রাইজমানি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে প্রকাশ্যে ককটেলের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় খেলার মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে স্থগিত করা হয় টুর্নামেন্ট।
শুক্রবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চারঘাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, কাব্য ক্রীড়া উন্নয়ন ক্রিকেট অ্যাকাডেমির উদ্যোগে শুক্রবার আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি প্রাইজমানি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। হঠাৎ একদল যুবক এসে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। খেলার মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করে তারা। এ সময় খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে মাটিতে ফেলে তারা পালিয়ে যায়। এছাড়া সামিয়ানাও ছিড়ে ফেলা হয়।
উপস্থিত দুই দলের খেলোয়াড়, খেলার মাঠ সংলগ্ন ব্যবসায়ী ও পথচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আতঙ্কে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন তারা। তখনই বন্ধ হয়ে যায় ওই বাজারের দোকানপাট। এদিন বিকেলে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের।
ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চারঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম বিকুল। তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমরা জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মোবাইলফোনে কথা কাটাকাটির জের ধরে থানা প্রেসক্লাবের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে শুক্রবার সকালে চারঘাট পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের ধারণা।
বিজ্ঞাপন
চারঘাট মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে খেলার মাঠে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সেখানকার অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন। এ পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিনিধি/এজে

