রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

দুম্বার খামার করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন রবিউল

জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী 
প্রকাশিত: ০২ মে ২০২৫, ১১:০০ এএম

শেয়ার করুন:

দুম্বার খামার করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন রবিউল

শখের দুম্বা পালন থেকে খামার করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন নীলফামারীর সৈয়দপুরের রবিউল ইসলাম কাজল। প্রবাসী ভাই রেজাউল ইসলাম নয়নের সহযোগিতায় সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের কাথারি পাড়ায় এ ব্যতিক্রমী দুম্বার খামার গড়ে তোলেন তিনি। 

খামারে দুম্বা পালনের পাশাপাশি পালন করা হচ্ছে দেশি-বিদেশি উন্নত জাতের ছাগল। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে পালন করা হচ্ছে এসব দুম্বা।


বিজ্ঞাপন


প্রতিবেশী আরমান ইসলাম জানান, আমাদের দেশে এই ধরনের দুম্বার খামার দেখা যায় না। কিন্তু রবিউল ভাই শখের বসে দুম্বা পালন শুরু করলেও বর্তমানে তার খামারে প্রায় ২৭টি দুম্বা রয়েছে। আমাদের এলাকায় বা আমাদের দেশে সাধারণত এসব ভিনদেশি পশু পালনের জন্য খরচ বেশি হাওয়ায়, কেউ এসব পশু পালন করতে চায় না। কিন্তু, চেষ্টা করলে যে সফল হওয়া যায়, রবিউল ভাই তা প্রমাণ করেছেন।

এ খামারে কাজ করেন রমজান আলী। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি চাচার এই খামারে প্রতিদিন কাজ করি। এছাড়া ঘাস কেটে দেই এবং ঘাসের সঙ্গে আরও অন্যান্য খাবার মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার খাবার দেই। আরব দেশের এসব প্রাণী লালন-পালন করে ভালোই লাগছে। 

দর্শনার্থী আলগীর হোসেন বলেন, আমি আগে কখনও দুম্বা দেখিনি। গত কয়েক দিন ধরে ফেসবুকে এই খামারটি নিয়ে খুব লেখালিখি চলতেছে, তাই আজকে দেখতে এলাম। মরুভূমির এ প্রাণীটিকে দেখে অনেক ভালো লাগছে।

খামারি রবিউল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, খামার তৈরির শুরুতে অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘাঁটাঘাঁটি করে একটু জানতে চেষ্টা করি। এরপর আমার প্রবাসী বড় ভাইয়ের মাধ্যমে কয়েকটি দুম্বা ক্রয় করি। এরপর ছয় মাসের মাথায় বাচ্চা দেওয়া শুরু করে দুম্বাগুলো। আমার খামারে মোট ২৭টি দুম্বা রয়েছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য  ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা। দুম্বার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। তাই খুব একটা রোগ-ব্যাধি দেখা যায় না, এই খামার থেকে বেশ ভালো লাভ হবে বলে আশা করছি।


বিজ্ঞাপন


সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার রায় ঢাকা মেইলকে বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে রবিউল ইসলাম কাজল তার নিজ বাড়িতে উন্নত জাতের ছাগলের পাশাপাশি দুম্বার খামার গড়ে তুলেছেন। আরব দেশের এ প্রাণীটিকে আমাদের এই অঞ্চলে সবসময় দেখা যায় না। পশুগুলো ভিনদেশি হওয়ায় তাদের যত্ন ও পরিচর্যা নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রবিউল। আমরা এই দুম্বার খামারটি পরিচালনা করার জন্য তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে থাকি। নতুন খামারিরা দুম্বা পালন করতে চাইলে, তাদেরকেও আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর