গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চীনা হাসপাতাল নির্মাণের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন পূর্বক প্রস্তাবপত্র স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন- জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) ও গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা নাজমুল হাসান সোহাগ।
বিজ্ঞাপন
এই প্রস্তাবপত্রে যৌথভাবে স্বাক্ষর করেছেন- নাজমুল হাসান সোহাগসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা জেলা আহ্বায়ক মাসুদ মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম আকাশ, জুলাই যোদ্ধা সংসদ গাইবান্ধা জেলা সভাপতি আমিনুর রহমান, শহিদ সাজ্জাদ হোসেনের মা শাহিনা বেগম।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্মারকসহ পত্র সূত্রে প্রেরিতে প্রস্তাবপত্রে উল্লেখ করা হয়- চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় রংপুরে ৫০০-১০০০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল স্থাপনের লক্ষ্যে উপযুক্ত স্থান নির্বাচনপূর্বক প্রস্তাব প্রেরণের নিমিত্তে স্মারকসহ পত্র পাওয়া যায়। এ পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে গাইবান্ধা জেলার সকল অংশীজনের পরামর্শক্রমে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট সুন্দরগঞ্জে একটি উপযুক্ত স্থান নির্বাচনপূর্বক প্রতিবেদন চাওয়া হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্মারকসহ পত্রে সুন্দরগঞ্জ উপযুক্ত স্থান নির্বাচনপূর্বক স্কেচম্যাপসহ প্রতিবেদন অত্র অফিসে দাখিল করেছেন। প্রতিবেদনে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাধীন হরিপুর ইউনিয়নের মৌজা হরিপুর, জে এল নং-৭০, খতিয়ান নং-০১, দাগ নং- ১৬৮৩ মোট জমির পরিমাণ ৯৪.০০ একর-এর মধ্যে ১০.০০ (দশ) একর এবং দাগ নং- ১০০১ মোট জমির পরিমাণ ৫৭.৪০ একর-এর মধ্যে ১৫.০০ (পনেরো) একর উভয় দাগে মোট ২৫.০০ (পঁচিশ) একর জমিতে চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় ৫০০-১০০০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালটি স্থাপনের প্রস্তাব করেছেন।
ওই তফসিলভুক্ত স্থানে হাসপাতালটি স্থাপিত হলে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও জামালপুর জেলায় বসবাসরত প্রায় ৮০ লাখ মানুষ উন্নত চিকিৎসার সুবিধা পাবেন এবং এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘাটবে।
বিজ্ঞাপন
গাইবান্ধা জেলায় উন্নতমানের কোনো হাসপাতাল নেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য এ জেলার জনগণকে ঢাকা বা রংপুরে যাতায়াত করতে হয়। তিস্তা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত এ তিনটি জেলার অসংখ্য মানুষ নদীর চরে বসবাস করে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় হরিপুর ইউনিয়নে হাসপাতালটি স্থাপিত হলে এ তিনটি জেলাসহ রংপুর বিভাগের অন্যান্য জেলার মানুষও এখানে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য যে, প্রস্তাবিত জায়গা ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত হওয়ায় জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন নেই এবং রাস্তার পাশে অবস্থিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত। তাই গাইবান্ধা জেলায় চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী ৫০০-১০০০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালটি স্থাপনের জন্য প্রস্তাব করা হয়।
এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) নাজমুল হাসান সোহাগ বলেন, গতকাল সোমবার (২৮ এপ্রিল) এই প্রস্তাবপত্র জমা করা হয়েছে। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসানসহ প্রস্তাবপত্রে সকল স্বাক্ষরকারী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম মহোদয়ের সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে গাইবান্ধা জেলাকে যেন প্রাধান্য দেওয়া বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রতিনিধি/ এজে

