নীলফামারীতে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোনের মধ্যে বড় বোন সুইটি আখতার রংপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। আর আগুনে দগ্ধ তার ছোট বোনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. শাহীন শাহ।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, দুপুর পৌনে দুইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুইটি আখতার।
এই চিকিৎক আরও জানান, একই ঘটনায় দগ্ধ তার ছোট বোন তাছফিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মৃত সুইটি নীলফামারী মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গুরুতর আহত তাফিয়া একা ডোমার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে। দুই বোনই ডোমারের বাবুল হোসেন ও ফাতিমা দম্পতির কন্যা। তারা নীলফামীর ইপিজেড মোড়ে রেজাউল করিমের বাসায় ভাড়া থাকত। সেখান থেকে তারা ইপিজেডে কাজ করে পড়ালেখা করতেন।
মঙ্গলবার সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার আগে রান্না করার সময় সিলিন্ডারে আগুন ধরানোর সময় লিকেজ থাকায় বিস্ফোরণ ঘটে এতে তারা দগ্ধ হন। পরে তাদেরকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে আনা হয়।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে নীলফামারী ইপিজেডে অপর আরেকটি ঘটনায় আরও দুইজন দগ্ধ হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। দগ্ধসূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে নীলফামারীর ইপিজেডের ভেতরে সনি বিডি লিমিটেডের ভেতরে মেশিনে বিষ্ফোরণে হয়ে কর্মচারী লিটন চন্দ্র রায় ও রবিউল ইসলাম দগ্ধ হন। তাদেরকেও বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. শাহীন শাহ বলেন, দগ্ধ সুইটি মারা গেছেন। তার শরীরে ১০০ ভাগ বার্ন হয়েছিল। তার ছোট বোন তাছফিয়াও শতভাগ বার্ন হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। এছাড়াও পৃথক ঘটনায় দগ্ধ লিটন ও রবিউলের ৩০ ভাগ বার্ন হয়েছে। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।

