বরিশালের উজিরপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে রোগ চেম্বার খুলে এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয়ে অপচিকিৎসার দায়ে ভুয়া চিকিৎসক রেজাউল করিমকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মাদরাসা থেকে দাখিল পাস করা রেজাউল নিজেকে এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয়ে প্রায় দশ বছর ধরে গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে অপচিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের পশ্চিম সাতলা গ্রামে ‘মায়ের দোয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ অভিযান চালিয়ে তাকে এ দণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। এসময় রেজাউলকে গ্রেফতার করে কারাদণ্ড দেন উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুল ইসলাম খান।
বিজ্ঞাপন
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, অভিযানকালে রেজাউল করিমের কাছে ‘চার্টার অব অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব ইন্ডো অ্যালোপ্যাথি অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন’ নামে একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক সনদ পাওয়া যায়। অথচ এই নামে কোনো স্বীকৃত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ভারতে নেই। অভিযান চলাকালে ক্লিনিকে কোনো রোগীর তথ্য রেজিস্টারে সংরক্ষণ করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র বা রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার প্রমাণপত্র (রশিদ) পাওয়া যায়নি। তিনি চিকিৎসার নামে যে প্রতারণা করছেন এটার যাতে কোনো প্রমাণ না থাকে সে জন্য এই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুল ইসলাম খান বলেন, তিনি যে সনদ দেখিয়েছেন তা যাচাই করে দেখা গেছে, সেটির কোনো বৈধতা নেই। যেহেতু তার এমবিবিএস ডিগ্রি নেই, তাই তিনি ভুয়া চিকিৎসক। আইন অনুযায়ী তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
প্রতিনিধি/ এজে

