মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বাংলাবান্ধা দিয়ে একদিনে ৭১৪ মেট্রিক টন আলু গেল নেপালে

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

বাংলাবান্ধা দিয়ে একদিনে ৭১৪ মেট্রিক টন আলু গেলো নেপালে

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে একদিনে সর্বোচ্চ ৭১৪ মেট্রিক টন আলু নেপালে রফতানি হয়েছে। বিগত কয়েক মাস ধরে এ বন্দর দিয়ে নেপালে আলু রফতানি হয়ে আসছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন।


বিজ্ঞাপন


জানা যায়, রোববার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে ভারতের ফুলবাড়ি হয়ে কয়েকটি ট্রাকে একদিনে সর্বোচ্চ ৭১৪ মেট্রিক টন আলু নেপালে রফতানি হয়েছে।

এর আগে ২৪ এপ্রিল বন্দরটি দিয়ে ৫০৪ মেট্রিক টন আলু রফতানি হয়। এ নিয়ে সর্বমোট ৬৯৫১ মেট্রিক টন আলু নেপালে রফতানি করেছে বাংলাদেশ। তবে এই আলুগুলো পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভালো মানের আলু সংগ্রহ করে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর পরবর্তীতে নেপালে রফতানি করা হচ্ছে। আমিন ট্রেডার্স, থিংকস টু সাপ্লাই, জাফরান ট্রেডার্স, ফাস্ট ডেলিভারি, স্বাধীন এন্টারপ্রাইজ, হোসেন এন্টারপ্রাইজ, মিয়ামি ট্রেডিংসহ বেশ কিছু রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এই আলু নেপালে রফতানি করছে। এতে আলু নিয়মিত রফতানি হতে থাকলে বাংলাদেশ সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে এবং দেশের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত আলুর দাম পাবেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, চতুর্দেশীয় এ বন্দরটি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রফতানি হচ্ছে। অপরদিকে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খইল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘আজকে সাতটি প্রতিষ্ঠানের আলু বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ট্রাকযোগে আসলে আমরা আলুগুলো আগে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পরে বন্দর হয়ে ভারত হয়ে নেপালে যাচ্ছে আলু। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে সর্বোচ্চ ৭১৪ মেট্রিক টন আলু নেপালে যাচ্ছে। এভাবে যদি প্রতি বছরে আলু রফতানি হয় তাহলে কৃষক, সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই লাভবান হবে।’


বিজ্ঞাপন


বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, "বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত বিভিন্ন পণ্য আমদানি ও রফতানি হয়ে থাকে। নতুন পণ্য হিসেবে আলু রফতানি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছে, তেমনি সরকারও রাজস্ব পাচ্ছে।"

১৯৯৭ সালে নেপালের সঙ্গে এক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে প্রথম আমদানি-রফতানি শুরু হয়। ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে ও ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রফতানি শুরু হয়। বর্তমানে বন্দরটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মেট্রিক টন পাথর আমদানি হচ্ছে। প্রায় ১০ একর জায়গার ওপর গড়ে উঠেছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর