সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

হাসনা মওদুদের প্রোগ্রামে আ.লীগ নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী 
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১০ পিএম

শেয়ার করুন:

হাসনা মওদুদের প্রোগ্রামে আ. লীগ নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা
কোম্পানীগঞ্জ মহিলা আ.লীগের সভাপতি পারভিন আক্তার, সাধারণ সম্পাদক নাজমা বেগম শিপা, বসুরহাট মহিলা আ.লীগের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন মুক্তা, ও সাধারণ সম্পাদক মাকসুদা

নোয়াখালী কোম্পানিগঞ্জে বেগম হাসনা জসীম উদ্দিন মওদুদ এর সঙ্গে কোম্পানিগঞ্জ আওয়ামী মহিলা লীগের সভানেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন মুক্তা এবং আওয়ামী লীগ নেতা সানাউল্লাহকে নিয়ে মাঝখানে বসা অবস্থায় একটি প্রোগ্রামের একাধিক ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

শনিবার রাত থেকে ছবিগুলো ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।


বিজ্ঞাপন


ভাইরাল হওয়া ওই ছবিগুলোতে দেখা যায়, আসিফ মওদুদ ফাউন্ডেশন বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৪ এর বৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও আওয়ামী লীগের আরেক নেতাকে নিয়ে প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। যাদের একজন ডান পাশে আরেকজন বাম পাশে বসে ছিলেন। এদের মধ্যে একজন কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভানেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন মুক্তা, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ওবায়দুল কাদের ও আব্দুল কাদের মির্জার রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি প্রথমে বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি, তদবির বাণিজ্য ও মির্জার সঙ্গে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, বাম পাশে বসা আরেকজন হলেন সিরাজপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা সানাউল্লাহ, যিনি আওয়ামী লীগের আমলে বিভিন্ন সময়ে জায়গা দখল এবং বাহিনী তৈরি করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর একাধিক অভিযোগের শিকার হয়েছেন।

এদিকে, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, কোম্পানিগঞ্জ বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সিরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাদের পাশে বসিয়ে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানটি আয়োজনের মাধ্যমে তিনি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একটি সামাজিক বৃত্তি পরীক্ষার অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে প্রশাসনের লোকজনকেও দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। মহিলা আওয়ামী লীগের যে সভানেত্রী ছিলেন, তিনি ওই স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষক। আমি বর্তমানে স্কুলের সভাপতি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। সানাউল্লাহ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। আর এটি তিনি প্রতি বছর করেন।


বিজ্ঞাপন


আওয়ামী নেতাদের পাশে বসিয়ে প্রোগ্রামের ভাইরাল হওয়া ছবির বিষয়ে জানতে উনার ব্যক্তিগত নাম্বারে এবং হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর