সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

গজারিয়ায় ১৫ হাজার লিটার চোরাই ভোজ্য তেলসহ ট্যাংকলরি ট্রলার জব্দ

জেলা প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ
প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩০ পিএম

শেয়ার করুন:

গজারিয়ায় ১৫ হাজার লিটার চোরাই ভোজ্য তেলসহ ট্যাংকলরি ট্রলার জব্দ

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার সন্দেহভাজন চোরাই ভোজ্য তেল (পামওয়েল) পরিবহন করার সময় একটি ট্যাংক লরি ও ইঞ্জিনচালিত দু’টি স্টিল বডি ট্রলার স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে দেয়।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়নের তেতৈতলা এলাকার মেঘনা পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় আটক করেন পরে গজারিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা ট্যাংকলরিটি থানায় নিয়ে যায় এবং ট্রলার দু’টি ঘাট ইজারাদারের জিম্মায় মেঘনা ঘাটে রেখে যান।


বিজ্ঞাপন


তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম।  তিনি শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জানান, তেল ও বহনকারী যানবাহনের মালিকানা নিশ্চিত করার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় সূত্র জানা যায়, ট্যাংক লরিতে আনুমানিক ৫ হাজার লিটার ও দু’টি নৌযানে ১০ হাজার লিটার মিলে ১৫ হাজার লিটার ভোজ্যতেল উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়নের তেতৈতলা মেঘনা ঘাট বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

thumbnail_1000005920

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা ঘাট বাজার এলাকা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে নোঙর করা বড় বড় নৌযান (শিপ) থেকে অবৈধ উপায়ে চোরাই তেল বিক্রির নিরাপদ রুট হিসেবে পরিচিত। রাত হলেই সক্রিয় হয় চোরাকারবারি চক্রটি।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ও প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চক্রটি নদীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল, সেইসঙ্গে মেঘনা ঘাটে বৈধ তেল ব্যবসায়ীরা বিষয়টা নিয়ে ছিলেন বিরক্ত। নানা সময় চোরাই তেল চুরির ব্যবসার অপবাদ তাদের মাথায় নিতে হতো তাই বাধ্য হয়ে স্থানীয় লোকজন বিষয়টা হাতেনাতে ধরার জন্য ওত পেতে ছিল।

স্থানীয় ব্যবসায়ী হেলালউদ্দিন ভুইয়া দাবি করেন, গোপালগঞ্জ জেলার অধিবাসী বোরহান উদ্দিন নামে পরিচিত এক ব্যক্তি দীর্ঘ বছর ধরে চোরাই তেলের ব্যাবসা করে বিপুল পরিমাণ টাকার মালিক হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে রাতের আঁধারে তিনি এই ব্যবসাটা করলেও রয়ে গেছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

আরও পড়ুন

বারহাট্টায় চাঁদা না পেয়ে পেট্রোল পাম্প ভাঙচুর

অভিযুক্ত চোরাই তেল ব্যবসায়ী বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগে চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। সন্দেহভাজন চোরাই তেল বহনকারী পুলিশ হেফাজতে থাকা ট্যাংকলরির মালিক পরিচয়দানকারী মো. সুমন মিয়া মোবাইল ফোনে জানান, তেল ব্যবসায়ী বোবহান উদ্দিন তার লরি ভাড়া নিয়েছিলেন তেল পরিবহনের জন্য। এছাড়া আমি কিছুই জানি না।

স্থানীয়দের দাবি অবৈধভাবে চোরাকারবারিরা নিরাপদ রোড হিসেবে মেঘনা পুরাতন ফেরিঘাট ব্যবহার করে আসছে। প্রশাসন জব্দ করা নৌযান ও ট্যাংকার লরির মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে চোরাকারবারি মূল হোতা বেরিয়ে আসবে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর