চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলী খেলায় দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ঘাড়ামারা ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের শরীফ ওরফে বাঘা শরীফ।
২০২৪ সালেও শরীফ একই মাঠে বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিজয়ের মালা অর্জন করেছিলেন।
বিজ্ঞাপন

চার ভাইয়ের মধ্যে শরীফ ওরফে বাঘা শরীফ ( ২৭) সবার বড়। বাবা কুদ্দুস মিয়া একজন ব্যবসায়ী।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে বাঘা শরীফ ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি ২০১৫ সালে মো. শাহজালাল বলীর কাছ থেকে খেলাটি শিখি। দেশের অন্যান্য জায়গায় খেললেও চট্টগ্রামে দুই বছর ধরে খেলছি।

বিজ্ঞাপন
বলী খেলায় বাঘা শরীফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খবরে হোমনা উপজেলায় আনন্দের জোয়ার বইছে। স্থানীয়রা বলছেন, শরীফ আমাদের হোমনার গর্ব ও অহংকার। তার এই কৃতিত্বে আমরা সবাই গর্বিত।
হোমনা উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, গতবছরও দেশের বিখ্যাত চট্টগ্রামের জব্বারের বলী খেলায় হোমনার শরীফ ওরফে বাঘা শরীফ বলী চ্যাম্পিয়ান হয়েছেন। এবারও তিনি চ্যাম্পিয়ান হওয়ায় হোমনাবাসী আনন্দিত ও গর্বিত। যেহেতু শরীফ বলী হোমনার গর্ব আমরা চিন্তা করছি হোমনা উপজেলা পরিষদ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া যায় কিনা।

বাঘা শরীফের নিজ গ্রাম মনিপুরের গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ পিআইবির সিনিয়র প্রশিক্ষক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, শরীফ বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। সে শুধু হোমনার নয়, সমগ্র কুমিল্লার গর্ব। কঠোর পরিশ্রম ও আত্মপ্রত্যয়ে সে এই সাফল্য অর্জন করেছে। সরকার যদি তাকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়, তাহলে সে আরও ভালো করতে পারবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে শরীফকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাই।

হোমনা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এটিএম মোর্শেদুল ইসলাম শাজু বলেন, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বলী খেলায় বাঘা শরীফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কুমিল্লা ও হোমনাকে ক্রীড়াঙ্গনে এক বিশেষ সম্মান এনে দিয়েছে। তার এই সাফল্যে হোমনাবাসী গর্বিত। আমরা তার সুস্থতা ও ধারাবাহিক সাফল্য কামনা করছি।
প্রতিনিধি/এসএস

