সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

গুটুদিয়ার চেয়ারম্যান তুহিন কারাগারে, অপসারণ দাবি এলাকাবাসীর

জেলা প্রতিনিধি, খুলনা
প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম

শেয়ার করুন:

গুটুদিয়ার চেয়ারম্যান তুহিন কারাগারে, অপসারণ দাবি এলাকাবাসীর

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম তুহিনের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে তারা তাদের দাবির কথা জানিয়ে দেন।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও শেখ পরিবারের আশীর্বাদপুষ্ট তুহিন দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও তিনি পার পেয়ে যাচ্ছিলেন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে।

সম্প্রতি ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় তুহিন ৪৬ নম্বর আসামি হিসেবে অভিযুক্ত হন। এছাড়া, ২১ নভেম্বর ছাত্রদল কর্মী রকিবুল হাসান হত্যাকাণ্ডে তার বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে যে মামলা করেন, সেখানে তুহিন ১৫৬ নম্বর আসামি। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন মোল্লা হত্যা মামলায়ও তিনি চার্জশিটভুক্ত আসামি।

চলমান মামলাগুলোর মধ্যে তিনি উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। কিন্তু জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১৭ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

চেয়ারম্যান কারাগারে থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু রাখার লক্ষ্যে ইউপি সচিব মো. এমদাদুল হক রোববার (২০ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে চিঠি দেন। চিঠিতে পরিষদ পরিচালনার জন্য তিনজন প্যানেল চেয়ারম্যানের নামও উল্লেখ করা হয়।


বিজ্ঞাপন


তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই প্যানেল চেয়ারম্যানরা তুহিনের ঘনিষ্ঠ এবং তার আজ্ঞাবহ। তাদের হাতে দায়িত্ব গেলে প্রকৃতপক্ষে তুহিনই অদৃশ্যভাবে ক্ষমতা ধরে রাখবেন। ফলে তারা একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে ইউপি প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান।

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল আমিন বলেন, ‘চেয়ারম্যান কারাগারে থাকার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে। যদি প্যানেল চেয়ারম্যানদের নিয়ে আপত্তি না থাকে, তাদের মধ্য থেকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে। অন্যথায় বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও খুলনা জেলার সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি অভিযোগ করেন, ‘খুলনার বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৪০টি ইউনিয়নে এখনও পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের দোসর ও সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল আছেন। আমরা সংশ্লিষ্ট ইউএনও ও জেলা প্রশাসককে বারবার জানিয়েছি, কিন্তু তারা জনগণের কোনো কথায় কর্ণপাত করছেন না। প্রশাসনের এই নীরবতা আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করছে।’

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর