বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগের নামধারী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জামায়াত কর্মী ও মসজিদের ইমামকে পিটিয়ে জখম এবং ৪০ শতক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গুলিশাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
আহত মো. শহিদুল ইসলাম (৬৫) গুলিশাখালী গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম। এই ঘটনায় শহিদুল ইসলামের জামাতা মো. রুহুল আমিন বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) মোরেলগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিন এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিন অভিযোগ করে বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে তার শ্বশুর শহিদুল ইসলামের ৪০ শতক জমি স্থানীয় প্রভাবশালী মধু চৌকিদার পেশি শক্তি ব্যবহার করে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে দখল করে নেয়। মধু চৌকিদার নিরীহ মানুষদের সম্পত্তি ও মৎস্য ঘেরাও জবরদখল করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, তৎকালীন সময়ে তার শ্বশুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করলে মধু চৌকিদার তাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। শহিদুল ইসলাম জামায়াত কর্মী ও মসজিদের ইমাম হওয়ায় ভয়ে অভিযোগপত্রটি প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন।
রুহুল আমিন জানান, বর্তমানে পটপরিবর্তনের পর তার শ্বশুর মধু চৌকিদারের কাছে জমি ফেরত চাইলে সে আগের মতোই ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এরপর শহিদুল ইসলাম প্রতিকারের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মোরেলগঞ্জ উপজেলা আমিরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। আমির বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য পাঁচজনকে দায়িত্ব দিলে মধু চৌকিদার সালিশ বৈঠকে বসতে গড়িমসি করে এবং একপর্যায়ে শহিদুল ইসলামের ওপর ক্ষিপ্ত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিন জানান, ঘটনার দিন তার শ্বশুর কর্মস্থলে যাওয়ার পথে মধু চৌকিদারের দোকানের সামনে পৌঁছালে মধু চৌকিদার ও তার ভাইপো ফাইজুল তার পথরোধ করে। তারা শহিদুল ইসলামকে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং দোকানের বাতা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে শহিদুল ইসলামের মাথা, বুক, পিঠ, কোমর ও উরুতে গুরুতর জখম হয়। রুহুল আমিনের অভিযোগ, মধু তার শ্বশুরকে হত্যার উদ্দেশে গলা চেপে ধরে এবং বিএনপি-জামায়াতের কর্মী হওয়ায় কটুক্তি করে।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি এগিয়ে এসে শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে গুলিশাখালী বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে মোরেলগঞ্জ সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চেয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
প্রতিনিধি/এসএস

