সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মুখীকচুর সঙ্গে টমেটোর বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

মুখীকচুর সঙ্গে টমেটোর বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
ক্ষেতে কৃষক মো. দুলাল মিয়ার সঙ্গে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. শামিমুল হক শামীম।

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার উত্তর হাফিজপুর গ্রাম। এ গ্রামের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে পতিত প্রায় ৩০ শতক জমি চাষাবাদ শুরু করেন কৃষক মো. দুলাল মিয়া। আর এতেই অল্প সময়ে লাভের মুখ দেখেন তিনি। কম খরচে অধিক লাভের কারণে তার মুখে ফুটেছে হাসি।

মৌসুমের শুরুতে জমিতে কি জাতের ফসল চাষ করবেন, এ নিয়ে ভাবছিলেন মো. দুলাল মিয়া। মাঠ পরিদর্শনে এসে বিষয়টি জানতে পারেন উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. শামিমুল হক শামীম। তিনি দুলাল মিয়াকে মুখীকচুর সঙ্গে বাহুবলি জাতের টমেটো চাষের জন্য উৎসাহিত করেন। পরে তাকে ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় মুখীকচু প্রদর্শনী প্রদান করা হয়।


বিজ্ঞাপন


উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. শামিমুল হক শামীমের সার্বিক পরামর্শ পেয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি মুখীকচু রোপণ করেন দুলাল। সঙ্গে রোপণ করেন বাহুবলি জাতের টমেটোর চারা। মাস যেতে না যেতেই টমেটো গাছে ফুল আসে। কিছুদিনে মধ্যে গাছে গাছে শোভা পায় টমেটো। আর টমেটো গাছের ছায়া পেয়ে মুখীকচু গাছ হয় সুন্দর।

thumbnail_Habiganj-1018184_(1)

সরেজমিন গিয়ে কৃষক মো. দুলাল মিযার সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানা যায়। তিনি বলেন, তার জমি পতিত ছিল। ভাবলাম ফেলে রেখে লাভ নেই। আবাদ করি। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. শামিমুল হক শামীমের পরামর্শে জমিতে মুখীকচুর সঙ্গে টমেটো চাষ শুরু করি। এতে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখানে টমেটো বিক্রি শুরু করেছি। বাজারে পাইকারিভাবে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করছি। কিছু দিন গেলে টমেটোর দাম আরও বাড়তে পারে। আশা করি, ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারব। পরে মুখীকচু বিক্রি থেকে আরও ৭০ হাজার টাকা আসবে বলে আশাবাদী আমি।

উত্তর হাফিজপুরের কয়েকজন কৃষক জানান, তারা দুলাল মিয়ার চাষাবাদ দেখেছেন। এক সঙ্গে মুখীকচু ও টমেটো চাষ তারা প্রথম দেখে উৎসাহিত হয়েছেন। আগামী মৌসুমে তারাও এভাবে চাষ করতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন।


বিজ্ঞাপন


 

উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. শামিমুল হক শামীম বলেন, বাহুবলে এই প্রথম মুখীকচুর সঙ্গে টমেটো চাষ হয়েছে। এখানে পরামর্শ দিয়ে সফল হয়েছি। পতিত জমি আবাদ করে কৃষক মো. দুলাল মিয়া লাভবান হচ্ছেন। তার এমন চাষাবাদ দেখে এলাকার অন্য কৃষকরাও উৎসাহিত হয়েছেন। তারাও এভাবে চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাদের পাশে সব সময় কৃষি অফিস রয়েছে।

প্রতিনিধি/টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর