কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বাম পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রদল ঠিক তার মুখোমুখি ডান পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রশিবির। উভয়ই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছে। ছাত্রদল বিতরণ করছে পানি আর শিবিরের পক্ষ থেকে পানির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি করে কলমও দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বাম পাশে এক ছাউনির নিচে পাশাপাশি বসেছে ছাত্রদল ও শিবিরের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের তথ্য সহায়তা কেন্দ্র।
বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৯ এপ্রিল) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সংগঠন দু’টির সম্প্রীতির সহাবস্থান দেখা গেছে।
আবার তাদের কার্যক্রমের এক পর্যায়ে কুবি ছাত্রদলের সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ও ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাফেজ ইউসুফ ইসলাহী একে অপরকে পানির বোতল দেওয়ার মাধ্যমে হাস্যোজ্জ্বলভাবে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে।
_20250419_215417053.jpg)
বিজ্ঞাপন
কুবি ক্যাম্পাসে ছাত্রসংগঠনদ্বয়ের এমন সম্প্রীতির বন্ধন আগে কখনও দেখা যায়নি বলে জানান ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি হাফেজ ইউসুফ ইসলাহী বলেন, আজকে ছাত্রশিবির-ছাত্রদলের মধ্যে যে সুন্দর সম্পর্ক পরিলক্ষিত হয়েছে ভর্তি কার্যক্রমে এটি বাংলাদেশে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। এই সদা সাফল্যের পেছনে জুলাই বিপ্লব ও সহস্র শহীদের রক্ত ও ছাত্রজনতার বিপ্লবী ইতিহাস জড়িত। জুলাই বিপ্লব আমাদের এক করে দিয়েছে৷ জুলাই বিপ্লবে আমাদের মূল ভিত্তি ছিল জুলুম, অন্যায়, ফ্যাসিবাদ সমূলে উৎপাটন করা। জুলাই বিপ্লবে আমাদের এক হয়ে কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে বৈষম্যবিরোধী প্লাটফর্মে এক হয়ে আমরা তা করেছি। আগামীতে ছাত্র সমাজের স্বার্থে ঐক্যের নজির স্থাপন করব। আমরা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এরকম সম্প্রীতির সম্পর্ক বজায় রাখব।

ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তফিজুর রহমান শুভ জানান, ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়গুলোতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করি আমরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই তাহলে রাজনৈতিক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে হবে। গত ১৬ বছর আওয়ামী ফ্যাসিস্টের কারণে ছাত্রদল কিংবা শিবির কেউ ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালাতে পারেনি। ছাত্রবান্ধব ক্যাম্পাস নিশ্চিতে শিবিরসহ যেসব ক্রিয়াশীল সংগঠন আছে আমরা চাই সবাই যার যার সহবস্থান থেকে সৌহার্দ্যপূর্ণ কার্যক্রম চালাতে।
প্রতিনিধি/এসএস

