কয়লা ব্যবসার নামে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) গভীর রাতে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর ও যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় যশোর ডিবি পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—ঝালকাঠি সদর উপজেলার কৃষ্ণকাঠি গ্রামের আব্দুল মালেক খানের ছেলে কালাম খান, ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের মৃত লেহাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে নাসির উদ্দিন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রুস্তমপুর গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে মনিরুল ইসলাম এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে আক্তারুজ্জামান।
ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল হক ভূঁইয়া জানান, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ইছামতশেরপুর এসবি ইটভাটা কর্তৃপক্ষ কয়লা কেনার জন্য যশোরের ‘মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর গত ১৯ মার্চ ইটভাটার মালিক সাজু প্রধান ও ম্যানেজার টুলু মিয়া কয়লা সংগ্রহের জন্য যশোরে আসেন।
আসামিরা তাদের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার একটি কয়লা ডিপোতে নিয়ে যায় এবং ৫টি ট্রাকে ১১৯ টন কয়লা লোড করে স্কেলের কাজ সম্পন্ন করে। এরপর কয়লার মূল্য হিসেবে ২০ লাখ ১১ হাজার ১০০ টাকা দাবি করে। ভাটা কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে ‘মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ’ নামীয় দুটি ব্যাংক একাউন্টে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকী টাকা কয়লা পৌঁছানোর পর পরিশোধ করার কথা হয়।
তবে আসামিরা কয়লা পাঠাননি এবং টাকা আত্মসাৎ করে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। টাকা ফেরত না পেয়ে ইটভাটার ম্যানেজার টুলু মিয়া প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন।
বিজ্ঞাপন
এরপর ডিবির একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার রাতে ঝালকাঠির রাজাপুর থেকে কালাম খান ও নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে যশোরের কেশবপুর থেকে মনিরুল ইসলাম ও আক্তারুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবি জানায়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও বরিশালে আরও ১২টি প্রতারণার মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিবির ওসি মনজুরুল হক ভূঁইয়া।
প্রতিনিধি/একেবি
