মাদক সেবনে নিষেধ করায় নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় তারা মিয়া ফকির (৬২) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করে মাদকাসক্তরা। এ ঘটনায় অনুসন্ধানে নেমে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন - নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কাটাহুসিয়া গ্রামের মো. শামীম মিয়া (২৫), ওয়াই গ্রামের মো. আফজাল হোসেন (২৪), একই গ্রামের মো. সজল মিয়া (২০) ও মো. রিয়াজ (২০)।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী তারা মিয়া ফকির কেন্দুয়া উপজেলার ওয়াই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলার বাসাটী বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাসাটী বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করতেন তারা মিয়া। দোকানে কেনা-বেচা শেষে রাতে বাড়ি ফেরার পথে সড়কের পাশে একটি কালভার্টে বসে প্রায় দিনই অভিযুক্তদের মাদক সেবন করতে দেখতেন তিনি। এসব দেখে তাদের নেশা না করার জন্য বলতেন ও মাঝে-মধ্যে বকাঝকা করতেন। এতে অভিযুক্তরা তারা মিয়ার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। একপর্যায়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ২১ মার্চ রাত সোয়া ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তারা মিয়া। পথে কাটাহুসিয়া গ্রামে সাতারখালী সেতুর কাছে পেয়ে ওই চারজন মিলে তারা মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও মুখে আঘাত করে হত্যা করে। এ সময় তার কাছে থাকা ব্যবসার টাকা লুটে নেয়। পরে গুম করার জন্য লাশ সাতারখালী খালে ফেলে দেয়।
এদিকে রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন সকালে তাকে খুঁজতে বের হয়। পরে এলাকাবাসীর থেকে খবর পেয়ে সাতারখালী খাল থেকে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দু’দিন পর থানায় মামলা করা হয়। তারপর ঘটনার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার সূত্র ধরে সন্দেহজনকভাবে প্রথমে শামীম মিয়াকে গত ১১ এপ্রিল তারিখে গ্রেফতার করা হয়। পরে ১৭ এপ্রিলে মো. আফজাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে আফজাল হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয়। তার দেওয়া তথ্যে কেন্দুয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে সজল মিয়াকে ও ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে মো. রিয়াজকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, আজ শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ

