এক হাজার শয্যার চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সর্ব স্তরের ছাত্র-জনতা।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও উন্নয়ন ফোরামের আয়োজনে চৌরাস্তায় ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ঠাকুরগাঁওয়ে চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল স্থাপনের করার জন্য একাত্মতা ঘোষণা করে আয়োজিত মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মো. দেলাওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলমগীর, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন, সমাজকর্মী মাসুদ আহম্মেদ সুবর্ণসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
এক হাজার শয্যার চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী তিনটি হাসপাতাল প্রস্তাবিত করায় চীন ও বর্তমান সরকারের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্যে তারা বলেন, প্রস্তাবিত তিনটি হাসপাতালের মধ্যে একটি হাসপাতাল রংপুর বিভাগের প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে আমরা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। ইতোমধ্যে রংপুর বিভাগের আটটি জেলার মধ্যে রংপুর, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইপিজেড করা হয়েছে। কিন্তু আজ অবধি ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো মেডিকেল কলেজ বা ভালো মানের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা হয়নি। এমনিতেই রংপুর বিভাগ অবহেলিত তার পরেও রংপুরে অন্যান্য জেলার তুলনায় ঠাকুরগাঁও জেলা উন্নয়নের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। তাই চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালটি নীলফামারী বা অন্য কোনো জেলায় না দিয়ে ঠাকুরগাঁয়ে প্রতিষ্ঠার দাবি জানান তারা।
তারা আরও বলেন, হাসপাতালটি ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠা করলে পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড় এবং দিনাজপুরের একাংশের ৪০ লাখ মানুষ এখানে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারেন ও উপকৃত হবেন। শুধু ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় দিনাজপুরের মানুষ না। এখানে হাসপাতালটি করা হলে কাছাকাছি অবস্থিত পার্শ্ববর্তী দেশ সিকিম, ভুটান ও চীনের মানুষও এখান থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরসহ বাংলাদেশের অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য ছুটে যাচ্ছেন ভারতে। এদেশের মানুষ আর ভারতের ওপর নির্ভরশীল হতে চায় না। তাই চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালটি ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠার করার দাবি জানান সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা।
প্রতিনিধি/এসএস