যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া মধ্যপাড়ায় জামায়াত নেতা খবির খার নেতৃত্বে চালানো হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জামায়াত নেতার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ভুক্তভোগী নারী শিশু ও বৃদ্ধরা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং হামলার বর্ণনা দেন। অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।
বিজ্ঞাপন
পরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত সাংবাদিকদের বলেন, এখানে নারকীয় ধ্বংসজজ্ঞ তাণ্ডব চালানো হয়েছে। যারা এই নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে তারা দুর্বৃত্ত, সমাজে অনাচার সৃষ্টিকারী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে দুর্বৃত্ত হিসেবে বিবেচিত করবে। যদিও নারকীয় তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তরা জামায়াত ইসলামের দিকে আঙুল তুলছে। কিন্তু আমি মনে করি জামায়াত ইসলামী কেন অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের এমন দুর্বৃত্তদের দায় নেবার কথা নয়। কোনো রাজনৈতিক দল যদি দুর্বৃত্তদের দায় নেওয়া কিংবা তাদের পক্ষে অবস্থান নেয় তাহলে বিএনপি সেটা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবে। কারণ বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে। যেখানে জনগণ সংকটে পড়বে সেখানে তাদের পাশে দাঁড়ানোই বিএনপির রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য।
এর আগে সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকনের নেতৃত্বে স্থানীয় নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ভুক্তভোগীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করেন।
বিজ্ঞাপন
এ দিকে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, স্থানীয় জামায়াত ইসলামীর নেতা খবির খার নেতৃত্বে রোববার সকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ১৪টি বাড়িঘরে নির্বিচারে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। তাদের লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন মহিলাও রক্তাক্ত জখম হন। ঘরে থাকা ফ্রিজ, টিভি ভাঙচুর করা হয়। কয়েক লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাও লুট করে হামলাকারীরা।
স্থানীয় প্রভাবশালী ওই জামায়াত নেতার লোকজন এখনও আমাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলছেন। না হলে তাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন। যেকোনো সময় আবারও হামলার শিকার হতে পারেন বলে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের সঙ্গে ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সদর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, আশরাফুজ্জামান মিঠু, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী।
প্রতিনিধি/এসএস