পাবনার চাটমোহর উপজেলার একটি ভুট্টা ক্ষেতে পড়েছিল জুঁই খাতুন নামে ৮ বছরের এক শিশুর লাশ। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। তবে পরিবারের দাবি- মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার রামপুর বিলের মধ্যে একটি ভুট্টা খেতের পাশে এই বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত জুঁই নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চাঁন্দাই ইউনিয়নের সারফা উত্তরপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে। মেয়েটি স্থানীয় মাদরাসায় শিশু শ্রেণিতে পড়ত।
বিজ্ঞাপন
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে জুঁই কয়েক বাড়ির পরে অবস্থিত দাদার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। দাদা বাড়িতে খেলাধুলা শেষে সন্ধ্যার দিকে বাড়ির দিকে রওনা হয়। দাদার বাড়িতে যাওয়ার কারণে বাবা-মা রাতে খোঁজ নেয়নি। আজ সকালে দাদার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিতে গেলে তার নিখোঁজের বিষয়টি ধরা পড়ে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে দুপুরে গ্রামের পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেতে মেয়েটির লাশের সন্ধান মেলে। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। মেয়েটির গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে। মুখমণ্ডল পোড়ানো।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম জানান, খবর পেয়ে দুই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে এলাকাটি নাটোর ও পাবনার সীমান্তবর্তী ফলে লাশটি কাদের হেফাজতে যাবে সিদ্ধান্ত হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে গলাটিপে হত্যার পর মাঠে ফেলে রাখা হয়েছিল। ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর কারণটি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
প্রতিনিধি/এসএস