কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় ফরিদা বেগম (২৪) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্বজনদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর স্বামী দুবাইপ্রবাসী। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের কালাচৌ গ্রামের বড়িয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
নিহত ফরিদার মা শহিদা বেগম জানান, জায়গাজমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফরিদার দেবর মোশারফ হোসেন, ভাশুর মোস্তফা ও শাশুড়ি জমিলা বেগমের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। ফরিদা প্রায় সময় মারধরের শিকার হতেন। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে মেয়ে ফোন করে জানিয়েছিল, ‘মা, আমাকে নিয়ে যান, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এরপরই খবরে জানতে পারেন ফরিদা আর নেই।
স্থানীয়দের ভাষ্য, ফরিদাকে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে স্বজনেরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নেওয়া হলে কর্তব্যরত পল্লি চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর বাড়িতে এনে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার চালানো হয়।
নিহত ফরিদার সাত বছরের ছেলে ফয়সাল বলে, সকালে দাদু, জেঠা আর দাদি মাকে মারছিল। পরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আর মাকে দেখি না।
নিহতের স্বামী সারোয়ার আলম প্রায় ১০ বছর ধরে দুবাইয়ে প্রবাসী। দাম্পত্য জীবনে তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।