জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস সবার মাঝে পৌঁছে দিতে ‘মাদারল্যান্ড অর ডেথ’ নামে শর্টফিল্ম তৈরি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম। গত ১২ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) শর্টফিল্মটি উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব।
দুই দিনব্যাপী প্রদর্শিত শর্টফিল্মটি ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সাড়া ফেলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হয়ে জুলাই বিপ্লব নিয়ে ফিল্ম তৈরি করে সবার প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। সহযোগিতা পেলে আরও ভালো কিছু করার আশা রাকিবের।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে তরুণ নির্মাতা রাকিবুল ইসলাম বলেন, জুলাই বিপ্লবকে বেশিদিন জীবিত রাখতে হলে আমাদের মাঝে বেশি বেশি সাংস্কৃতিক নির্মাণ ও সাহিত্য নির্মাণ জরুরি। কারণ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার যেভাবে সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে প্যাট্রোনাইজ করে ফ্যাসিজম কায়েম করেছিল এখন আমরা সেরকম দৃশ্যমান কোনো কিছু দেখছি না।
আমাদের সাংস্কৃতিক লড়াইগুলো সংস্কৃতি দিয়েই করতে হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়েটিভ নির্মাতা শিক্ষার্থীরা এ কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে তারাও যেন করতে পারে সেজন্য আমি একজন ছোট নির্মাতা হয়ে অল্প সময়ে করার চেষ্টা করেছি। সুস্থ, সুন্দর ধারার সাংস্কৃতিক বিনোদন সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমাদের মতো ইয়াং নির্মাতাদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলেন তিনি।
ফিল্ম নিয়ে রাকিবের ইচ্ছাশক্তি জানিয়ে সহপাঠী তাসনীম রাফী বলেন, মানুষের অদম্য ইচ্ছাশক্তি সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছিয়ে দেয়। এর বাস্তব প্রমাণ আমার বন্ধু রাকিব। তার ইচ্ছা ছিল একজন সফল স্ক্রিপ্ট রাইটার, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হওয়া। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত কাজ করে গিয়েছে। অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে জুলাই বিপ্লবের ওপর ডকুমেন্টারি এবং শর্টফিল্ম নির্মাণ করেছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, তার এ শর্টফিল্ম প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ দর্শনার্থী সবাই একসঙ্গে বসে উপভোগ করেছেন এবং তার কাজের তারিফ করেছেন। সত্যি কথা বলতে ডকুমেন্টারি দেখে আমার নিজের চোখে পানি চলে এসেছিল।
শর্টফিল্মটি প্রদর্শন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, শর্টফিল্মটি নিয়ে আমার যে প্রত্যাশা ছিল তা অনেকগুণ ছাড়িয়ে গেছে। তারা কেউ ফিল্ম বা মিডিয়ার মানুষ না হয়েও এত সুন্দর ডিরেক্টশন দিয়ে দারুণ একটা কাজ করেছে। অসম্ভব প্রতিভাবান না হলে এরকম কাজ করা সম্ভব নয়। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের আরও এসব কাজে অনুপ্রাণিত করে যাব। ভবিষ্যতে এরকম কাজে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।
প্রতিনিধি/এসএস