সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় পুরাতন ব্যাটারি গলানোর কারখানায় ডাকাতির দীর্ঘ ১ মাস পরে রহস্য উদঘাটন করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, কাভার্ড ভ্যান ও লুট হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত্রে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানিয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
ডিবি পুলিশ জানায়, গত ১৩ মার্চ রাতে তাড়াশের একটি ব্যাটারিু কারখানায় ঢুকে অন্তত ২৫-৩০ জনের একটি ডাকাত দল শ্রমিকদের বেঁধে রেখে নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ মালামাল লুট করে। ডাকাতরা কারখানা থেকে প্রায় ১০ টন ব্যাটারির প্লেট, ৩ টন সীসা, ১২০০ কেজি কানেক্টিনসহ মোট ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার মালামাল এবং ৭০ হাজার টাকা নগদ লুট করে। যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এই ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হলে পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. জিয়াউর রহমানের তত্ত্বাবধানে এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মো. একরামুল হোসাইন ও উল্লাপাড়া সার্কেলের এএসপি অমৃত সূত্রধরের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম অভিযান চালায়।
অভিযানে গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় থেকে ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন— মো. ওয়াসিম পলান (২৩), মো. জাহিদুল ইসলাম (২৫), মো. ইয়াকুব শাহ (২৩), মো. শামীম হোসেন (৩৪) ও মো. লাবু প্রামানিক (৪০)। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে একটি কাভার্ড ভ্যান, ৩টি চাইনিজ কুড়াল এবং ডাকাতির সময় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তারা ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. একরামুল হোসাইন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সকল তথ্য ও সূত্র মিলিয়ে এই চক্রকে ধরার জন্য কাজ করে আসছিলাম। গতকাল রাত্রে আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটে গাজীপুর থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এরপর সকাল ৬টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছি। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিনিধি/টিবি