বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

টেন্ডারের কাজের টাকায় জিলাপি খেতে চাইলেন ওসি, ফোনালাপ ভাইরাল

জেলা প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৮ এএম

শেয়ার করুন:

টেন্ডারের কাজের টাকায় জিলাপি খেতে চাইলেন ওসি, ফোনালাপ ভাইরাল

কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার কাজের টাকায় জিলাপি খেতে চেয়েছেন। এমন একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

কথোপকথনের অডিও রেকর্ডে শোনা যায়- ওই কর্মকর্তা বলছেন, ‘বললাম যে সেফটি সিকিউরিটি দিলামতো সারাজীবন। তোমরা যে ১৮ লাখ টাকার কাজ করে ১০ লাখ টাকা লাভ করলা। দশ টাকার জিলাপি কিনেও তো পাবলিকরে খাওয়ালে না। যে খাইয়া একটু দোয়া কইরা দেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের। তোমার জায়গায় আমি হইলে সুদের ওপরে টাকা আইনা আগের জিলাপি খাওয়াইতাম, দোয়াডা হইলো সবার আগে। পরে তো বিল পামু, তাই না। কথোপকথনে ওই কর্মকর্তা তখন বলেন, ঠিক আছে তাহলে জিলাপির অপেক্ষা করলাম নাকি? এক প্যাঁচ আধা প্যাঁচ জিলাপি দিলে হইব। বিভিন্ন পারপাসে হইলে পাবলিক খাইলো আর কি বোঝো না। এ সময় ভুক্তভোগী ছাত্রনেতা বলেন, বিলটিল পাই একটা অ্যামাউন্ট দেখবনে’ এ কথার উত্তরে ওসি বলেন ‘ঠিক আছে।’


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

দোকানে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ: ২ লাখে রফাদফার চেষ্টা, অভিযুক্ত আটক

ভুক্তভোগী ছাত্রনেতা আফজাল হুসাইন শান্ত জানান, আমি ইটনা উপজেলার বলদা হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪৮০ মিটার ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ পাই টেন্ডারের মাধ্যমে। কাজ শেষ হওয়ার পরে থানায় গেলে তিনি জিলাপি খেতে টাকা চাইতেন। তখন রেকর্ড করতে পারিনি। পরে ফোনে ওসির সঙ্গে আমার কথা হলে তিনি আমার কাছে ফসল রক্ষা বাঁধ করে যে লাভ হয়েছে এখান থেকে জিলাপি খেতে চাইছেন। আমি সরকারি কাজ পেয়েছি টেন্ডারের মাধ্যমে এখানে ওসি জিলাপি খেতে চাইতে পারে না। আমি এই ঘটনার বিচারের দাবি জানাই। আমার কাছে যদি জিলাপি খাইতে চাইতে পারে তাহলে সাধারণ মানুষ কতটা শান্তিতে আছে বুঝতে পারছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনিও অডিও রেকর্ডটি শুনেছেন। মজার ছলে তিনি ওই ব্যক্তির কাছে জিলাপি খেতে চেয়েছেন। তবে টাকার অ্যামাউন্টের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কথা ঘুরিয়ে ফের বলেন এই কথোপকথনের অডিওটি এডিটিংও হতে পারে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে সেই দাবি জানাই।


বিজ্ঞাপন


এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করব। তদন্তে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর