ভারত সরকারের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের কারণে দেশের একমাত্র চারদেশীয় (বাংলাদেশ, নেপাল ,ভারত ও ভূটান) স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে আমদানি রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে। আজও নেপালে গেল ১৪৭ আলু রফতানি করেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকেই বন্দরটি দিয়ে আমদানি- রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাবন্ধা স্থলবন্দর ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ।
বিজ্ঞাপন
এদিকে,পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালে নিয়মিত আলু রফতানির ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার আরও ১৪৭ মেট্রিক টন আলু রফতানি হয়েছে নেপালে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন জানান,বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আজ ১৪৭ মেট্রিক টন আলু নেপালে গেছে। তবে আমদানি রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৩৪০২ মেট্রিক টন আলু নেপালে রফতানি করা হলো।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের জন্য ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় একটি চিঠি ইস্যু করেছে কাস্টমসে। তবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বিকেল পর্যন্ত বন্দরটি দিয়ে ভুটান থেকে ২৯ ট্রাক পাথর, নেপাল থেকে আখের চিটাগুড় ১১ ট্রাক, ভারত থেকে ৫ ট্রাক আতপ চাল, নেপাল থেকে ৩ ট্রাক কাচ, ভারত থেকে ১ ট্রাক পাথর এসেছে। অপরদিকে নেপালে রো-জুট ৮ ট্রাক, ফ্রেশ পটেটো ৭ ট্রাকে ১৭১ মেট্রিক টন, টিস্যু পেপার ৬ ট্রাক, কটন র্যাগস ২ ট্রাকসহ পণ্য রফতানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক ছেড়ে গেছে।
এ বিষয়ে বাংলাবন্ধা স্থলবন্দরের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করলেও স্বাভাবিক রয়েছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কার্যক্রম। বিগত দিনের মতোই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু রয়েছে। সকাল থেকে বন্দর সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে আমদানি পণ্য প্রবেশ করছে ও রফতানি হওয়া পণ্য বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বন্দরটিতে ৪৯ ট্রাক পণ্য আমদানি, ২৪ ট্রাক রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়া করেছে।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে,এ বন্দরটি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রফতানি হচ্ছে। অপরদিকে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খৈল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়।
এর আগে, গত ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার সুবিধা বাতিল করে দেশটি। এতে বুধবার থেকে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্রুত ও স্বল্প খরচে বাণিজ্য করার পথ বন্ধ হয়ে গেলেও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি দিয়ে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রতিনিধি/ এজে

