নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রবিন টেক্সট নামের একটি রফতানিমুখী পোশাক কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে তিন ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আউখাবো এলাকায় এ সংঘর্ষ চলে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বিজ্ঞাপন
আহতদের মধ্যে কারখানার শ্রমিক ছাড়াও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন।
![]()
এদিকে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটকের কথা জানিয়েছেন জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম। তবে আটকদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের আগে উপজেলার ভুলতা এলাকার রবিনটেক্স (বাংলাদেশ) লিমিটেড কারখানার অন্তত ১২০ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে শ্রমিকরা সকালে কারখানাটির সামনে জড়ো হন। পরে দুপুরে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।
বিজ্ঞাপন
শ্রমিকরা বলেন, গত মঙ্গলবার কারখানা খোলার দিন শ্রমিকরা ছাঁটাইয়ের কারণ জানতে চাওয়ার পাশাপাশি বকেয়া বেতন ও বোনাস দেওয়ার কথা বললে মালিকপক্ষ টালবাহানা শুরু করে। আজ সকালেও শ্রমিকরা তাদের দাবি নিয়ে কারখানায় অবস্থা নেয়। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয়। পরে শ্রমিকরা কারখানার থেকে বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে অবরোধ করে। এসময় তাদের সরিয়ে দিতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে শ্রমিকদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ, দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শতাধিক আহত হয়েছেন।
![]()
আন্দোলনরত কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ঈদের আগে আমাদের ৬৫ জন শ্রমিককে বিনা নোটিশে ছাঁটাই করে কর্তৃপক্ষ। আমরা আমাদের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। আমরা কারখানার ভেতরে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে নারীসহ আমাদের ৬৫ জন শ্রমিক আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, রবিনটেক্স গার্মেন্টস কর্মীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে কাজে যোগ দেওয়ার কথা বললে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কয়েকজন আহত হয়েছেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টাও করা হচ্ছে। আশা করি, অল্প সময়ের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।
প্রতিনিধি/এসএস

