জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী। মামলায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববিসহ ৩ কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে শেরপুরের বিজ্ঞ সিআর আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মোহাম্মদ গোলাপ হোসেন নামে এক ব্যক্তি।
বিজ্ঞাপন
মামলার মামলা বিবরণে জানা গেছে, ১৩ জুন ২০২৫ সালে নিলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২৫ হাজার ঘনফুট বালু বাদী গোলাপ হোসেন সরকারি কোষাগারে নিলামের অর্থ প্রদান করে ক্রয় করেন। তৎকালীন নালিতাবাড়ী নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা উক্ত বালু বাদীর কাছে বুঝিয়ে দিতে তালবাহানা শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। পরে বাদী গোলাপ হোসেন টাকা দিতে রাজি না হলে তাকে নিলামের বালু নিয়ে হয়রানি শুরু করেন। এমতাবস্থায় বাদী গোলাপ হোসেন জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করেও কোনো সুরাহা পাননি বলে জানান। পরে নির্বাহী কর্মকর্তা বদলির কারণে জামালপুরের বকশীগঞ্জে চলে গেলে বর্তমান নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি ও সহকারী কমিশনার ভূমি আনিসুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার যোগসাজশে বালু বুঝিয়ে না দিয়ে নিলামে ডাকা বালু বিক্রি করে দেন বলে মামলায় অভিযোগ করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
![]()
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহিদুল হক আধার জানান, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবির উদ্দেশে আমার মক্কেল গোলাপ হোসেনকে হয়রানি করে আসছিল। এ ঘটনায় আমার মক্কেল আজ বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আমরা এ বিষয়ে আদালতে ন্যায় বিচার পাব বলে আশা করছি।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানাকে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রতিনিধি/এসএস

