মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

১২৫ টাকার জন্য বাবাকে হত্যা, ৪ সন্তানকে পিটিয়ে জখম!

জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৪ এএম

শেয়ার করুন:

১২৫ টাকার জন্য বাবাকে হত্যা, ৪ সন্তানকে পিটিয়ে জখম!

চায়ের দোকানে বাকি ১২৫ টাকাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নুরুল আমিন (৬০) নামে এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এসময় নিহতের ৪ ছেলে-মেয়েকে পিটিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় সেলিম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে নিহত নুরুল আমিনের বাড়িতে সরেজমিন গেলে দেখা যায়, বাবাকে হারিয়ে তার ৩ মেয়ে সালমা,আছমা ও ফাতেমা বেগম বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। যারা তাদের বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন তারা।


বিজ্ঞাপন


এর আগে, সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ভাইস চেয়ারম্যান সড়কের চৌধুরীর চায়ের দোকানের সামনে বেদম হামলার শিকার হন বৃদ্ধ নুরুল আমিন ও তার ৪ সন্তান।

thumbnail_1000137685

এদিকে নুরুল আমিনের মৃত্যুতে তোরাবগঞ্জ বাজারে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। নুরুল আমিনকে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য দাবি করে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানায় বিক্ষুব্ধরা। এতে ৪০-৫০ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আহতরা হলেন, নিহত নুরুল আমিনের ছেলে বজলুর রহমান ভুলু, মো. মামুন, মো. ফিরোজ ও মেয়ে আছমা আক্তার।


বিজ্ঞাপন


তবে আটক সেলিম এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

আরও পড়ুন

বান্দরবানে শিশু ধর্ষণ, অভিযুক্ত দোকানদার গ্রেফতার

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দাবি, ঘটনার সময় নুরুল আমিনের ছেলে মামুন চা খেতে যায় চৌধুরীর দোকানে৷ এতে তাকে একা পেয়ে কোনো কারণ ছাড়াই কামাল, জামাল, মাসুদ, আলমগীর, মনির ও সেলিম মারধর করে। খবর পেয়ে নুরুল আমিনসহ তার ছেলে বুলু ও আছমা ঘটনাস্থলে যায়৷ এসময় মামুনকে বাঁচাতে গেলে তারাও মারধরের শিকার হয়। এই মারধরে নুরুল আমিন আহত হয়৷ আহতদের  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নুরুল আমিনসহ ৩ জনকে সদর হাসপাতালে পাঠায় কর্তব্যরত চিকিৎসক। এসময় সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নুরুল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত নুরুল আমিনের মেয়েদের দাবি তাদের সেজো ভাই মামুন চৌধুরীর দোকানে ১২৫ টাকা বাকি করে। ১২৫ টাকাকে কেন্দ্র করে দোকানির সঙ্গে তাদের ভাইর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। ঘটনার সময় চৌধুরীর লোকজন  কামাল, জামাল, মাসুদ, আলমগীর, মনির ও সেলিম মিলে সেজো ভাই মামুনকে মারপিট করে। একপর্যায়ে তাদের বাবা-ভাইকে পিটুনি দিয়ে দোকানের সামনে একটি গর্তে ফেলে দেয়।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সেলিম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকে চেষ্টা চলছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর