বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

ফরিদপুরে বিয়ের গেটে মারামারি, বউ না নিয়েই ফিরে গেল বরপক্ষ

জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় এক বিয়ের অনুষ্ঠানে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে বরপক্ষ বউ না নিয়ে ফিরে গেছে। 

গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামে কনে পক্ষ ও বরপক্ষের লোকজনের মধ্যে পার্টি স্প্রে দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা শুরু হয়। বরপক্ষের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে কনের বাবা ও চাচাকে মারধর করেন এবং এ সময় ছেলেপক্ষের মাইক্রোবাসের কাচ ভাঙচুর হয়। পরে বরযাত্রীরা বউ ছাড়াই ফিরে যান।


বিজ্ঞাপন


এলাকাবাসী ও কনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের সামেদ আলী মাতুব্বরের মেয়ে এবং সদরপুর উপজেলার চরব্রহ্মনদী ভেন্নাতলী গ্রামের তৈয়ব মোল্লার ছেলে প্রবাসী নাঈম মোল্লার এক বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কাবিন হয়। গত ৪ এপ্রিল বিয়ের দিন নির্ধারিত ছিল। বরযাত্রা হিসেবে প্রায় ১২০ জন লোক উপস্থিত হয়েছিল এবং ৪-৫ শত জনের আয়োজন ছিল। তবে বিয়ের গেটে ছেলেপক্ষ ও মেয়েপক্ষের লোকজনের মধ্যে পার্টি স্প্রে দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

মেয়েপক্ষের একজন বরপক্ষের এক ব্যক্তির টাক মাথায় বিপুল পরিমাণ পার্টি স্প্রে দেন, যা নিয়ে বরপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে কনের বাবা ও চাচাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে, ছেলেপক্ষের মাইক্রোবাসের পেছনের কাচ ভাঙচুর করেন মেয়েপক্ষের লোকজন। পরবর্তীতে বরযাত্রীরা বউ ছাড়া ফিরে যান, এবং বিয়ের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়নি।

আরও পড়ুন—


বিজ্ঞাপন


কনের বাবা, সামেদ আলী মাতুব্বর, বলেন, ‘বিয়ের গেটে একটু আনন্দ-উৎসব ও পার্টি স্প্রে দেওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে। আমি বরপক্ষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছি, কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। বরপক্ষের লোকজন খাবারের প্যান্ডেলসহ চেয়ার-টেবিল পর্যন্ত ভাঙচুর করেছে এবং খাবার ফেলে দিয়েছে। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মেয়ে বিয়ে দেওয়া হবে না।’

এ বিষয়ে বর, নাঈম মোল্লা, এবং তার বাবা, তৈয়ব মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ভাঙ্গা কাউলিবেড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য, সাজেদুল হক, বলেন, ‘মেয়েপক্ষ ও বরপক্ষের ঝামেলার কারণে বরযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়নি। এক বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রবাসী ছেলের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল। এ ঝামেলার পর বরপক্ষ ও কনেপক্ষের মধ্যে কোনো যোগাযোগ হয়নি।’

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বলেন, ‘এ ব্যাপারে কনের বাবা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর

News Hub