রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামে সাথী আক্তার (২৯) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী রুবেল খাঁ’র বিরুদ্ধে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সাথী আক্তারের মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
নিহত সাথী আক্তার সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধূরদিয়া গ্রামের বিশু ফকিরের মেয়ে। তিনি ১০ বছর আগে রুবেল খাঁ'র সাথে বিয়ে করেন এবং তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
সাথী আক্তারের বাবা বিশু ফকির জানান, বিয়ের পর থেকেই তার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন জামাই রুবেল। একাধিকবার মারধরের পর সাথীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গতকাল বিকালে রুবেল ফোন করে জানায়, সাথী হারপিক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর বিশু ফকির ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মেয়েকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান, তার নাক-মুখ দিয়ে ফেনা উঠছিল। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন, কিন্তু ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিশু ফকির আরও বলেন, ‘আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার জন্য আমার জামাই রুবেল দায়ী। আমি চাই, আমার মেয়ের হত্যার বিচার হোক এবং আমি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
দাদশী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মামুন শেখ জানান, ‘শুক্রবার বিকালে সাথী অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ফরিদপুর এবং পরে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়, কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। আমি ঘটনাস্থলে এসে রুবেলকে খুঁজে পাইনি, সে পলাতক রয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান জানান, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সাথী বিষ খেয়ে মারা গেছেন। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
এদিকে, সাথীর স্বামী রুবেল খাঁ পলাতক রয়েছে এবং পুলিশ তার খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে।
প্রতিনিধি/একেবি