সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় অবৈধ পুকুরখননকারীদের কাছ থেকে সার্কেল এসপি ও তদন্ত ওসির ঘুষ গ্রহণের সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনকে লাঞ্চিত করার ঘটনা ঘটেছে। থানায় আটকিয়ে রেখে মারধর ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচার এবং নিজেদের নিরাপত্তার দাবি করেছেন।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ইত্তেফাক পত্রিকার তাড়াশ উপজেলা প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা এ সময় তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনসহ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা বলেন, সিরাজগঞ্জের শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত চলনবিলে দীর্ঘ এক যুগ ধরে অবৈধভাবে পুকুরখনন করা হচ্ছে, যার ফলে আবাদি জমি কমে যাচ্ছে এবং শস্য উৎপাদনও হ্রাস পাচ্ছে। এই বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, অবৈধ পুকুরখননকারীদের কাছ থেকে উল্লপাড়া সার্কেলের এসপি অমৃত সূত্রধর এবং তাড়াশ থানার তদন্ত ওসি নাজমুল ইসলাম ঘুষ নিয়ে পুকুর খননের অনুমোদন দিচ্ছিলেন। এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত হলে, সার্কেল এসপি ও তদন্ত ওসি তার উপর ক্ষুব্ধ হন।
গত ৩১ মার্চ ঈদের দিন রাতে তাড়াশ-রানীরহাট এলাকার বেরখালী এলাকায় পুলিশ টহল গাড়ির পাশে তার গাড়িতে ডাকাতি হয়। এ ঘটনায় তিনি রাতে তাড়াশ থানায় অভিযোগ করতে গেলে, ওসি তদন্ত নাজমুল ইসলাম ডাকাতির অভিযোগ না নিয়ে, উল্টো তাকে থানায় হামলা ও মাদক সেবনকারী হিসেবে আখ্যায়িত করে লাঞ্চিত করেন এবং আটকিয়ে রাখেন। পরে, তার স্ত্রী থানায় আসলে, ওসি তদন্ত তার স্ত্রীকেও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ওসি তদন্ত বর্তমানে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।
গোলাম মোস্তফা জানান, এ অবস্থায় তিনি ও তার পরিবার শঙ্কিত আছেন। তিনি পুলিশের বর্বরোচিত নির্যাতনের উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন এবং পরিবারের নিরাপত্তা কামনা করেছেন। তিনি আরও বলেন, তাড়াশ থানার ওসি তদন্ত নাজমুল ইসলাম যেকোনো সময় তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেন।
প্রতিনিধি/একেবি