বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার মামলায় নিকাহ রেজিস্ট্রার গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি, ফেনী
প্রকাশিত: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img
ইনসেটে মো. ইউসুফ (৪৭)

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় ফেনীতে মো. ইউসুফ (৪৭) নামে এক নিকাহ রেজিস্টারকে (কাজী) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের এক কমিউনিটি সেন্টার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাতেই তাকে আদালতে সোপর্দ করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।


বিজ্ঞাপন


ফেনীর বোগদাদিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতার ইউসুফ ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তিনি পার্শ্ববর্তী লেমুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদেও কর্মরত রয়েছেন। 

ফেনীর বোগদাদিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগদাদিয়া কমিউনিটি সেন্টারে অভিযান চালিয়ে কাজী ইউসুফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় রাতেই তাকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, ২০২৩ সালের ১৩ মে ফেনী সদরের শর্শদি ইউনিয়ন ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শিবলুকে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলায় কাজী ইউসুফ এজহারভুক্ত আসামি ছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ঢাকায় ফেরার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছাগলনাইয়া উপজেলার মুহুরীগঞ্জ এলাকায় হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজহারভুক্ত আসামি ছিলেন। শুক্রবার রাতেই তাকে দুটি মামলা গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। 


বিজ্ঞাপন


স্থানীয়রা জানান, ২০১৬ সালে ছনুয়া ইউনিয়নের কাজী আবদুর রবের মৃত্যুর পর স্থানীয় চেয়ারম্যান করিমুল্লাহ বিকমের মাধ্যমে শর্শদী ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ার পরও ছনুয়া ইউনিয়নের কাজী পদ ভাগিয়ে নেন তিনি। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তিনি কাজি পদে নিয়োগ নেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

লেমুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহেদ আলি জানান, শিক্ষক নিয়োগের সময় ইউছুফের কাগজপত্রে স্থায়ী ঠিকানা ছিল শর্শদি ইউনিয়ন। পরে কাজী পদে নিয়োগের সময় ছনুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান করিমুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সনদে তিনি ছনুয়ার বাসিন্দা বলে ঠিকানা পরিবর্তন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন সময়ে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

প্রতিনিধি/টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন