টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দাম্পত্য কলহ থেকে এক ছাত্রদল নেতাকে জড়িয়ে দুই সন্তানের জননী স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন স্বামী। তবে, সেই অভিযোগের ব্যাপারে গণমাধ্যমের কাছে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি ওই নারীর স্বামী।
এদিকে ভুক্তভোগীদের নাম-পরিচয়সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমর ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক ও ব্যক্তি জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে বলে দাবি তাদের। তারা বলছে, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য একটি পক্ষ মিথ্যা অভিযোগ তুলে জীবনকে সংকটময় করে তুলেছে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় ওই নেতাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে একটি চক্র এমন দাবি এই ভুক্তভোগী নেতা ও তার কর্মীদের। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য একটি পক্ষ মিথ্যা অভিযোগ তুলে পরিস্থিতি খারাপ করে তুলেছে বলে জানান তারা।
এ দিকে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করলেও স্বামীর কাছে নেই কোনো প্রমাণ। তাই এসব ঘটনার প্রতিকার চেয়ে পাল্টা অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী নিজেও। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস পুলিশের।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ঘাটান্দি গ্রামে গত মঙ্গলবার স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহের জেরে সালিশি বৈঠকে বসে সমাজপতিরা। বৈঠকে নারীকে এক ছাত্রদল নেতার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করে স্বামী ও সমাজপতির একটি মহল। পরে মেয়েটি অস্বীকার করলে ঘটনা গড়ায় থানা পর্যন্ত। আর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, ছাত্রদল ওই নেতার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। অত্যাচার ও নির্যাতনের ঘটনা আড়াল করতেই মিথ্যা দায় ও হুমকি দিয়ে জীবন বিপন্ন করে তুলেছে স্বামী ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী জানান, তিনি তার স্ত্রীকে মোবাইলে কথা বলতে দেখেছেন। তবে তার কাছে অন্য কোনো প্রমাণ নেই। তিনি অভিযোগ আনলেও গণমাধ্যমের কাছে দেখাতে পারেননি কোনো প্রমাণ।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও বলছেন, সালিশি বৈঠকে অভিযোগের সত্যতা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি স্বামী।
উপজেলা ছাত্রদলের ভুক্তভোগী ওই নেতা বলেন, ওই নারীর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই৷ রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নেওয়ার জন্য একটি পক্ষ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে আমার বিরুদ্ধে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, ভুক্তভোগী স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিনিধি/এসএস