কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন হ্যাচারিতে জন্ম নেওয়া ১১১টি কাছিম ছানা সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া সমুদ্রসৈকত এলাকার সাগরে ছাড়া হয়েছে কাছিম ছানাগুলো।
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ গত ২৯ মার্চ (শনিবার) একই পয়েন্ট দিয়ে ৩০০টি কাছিমের ছানা অবমুক্ত করা হয়। নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন ম্যানেজার আবদুল কাইয়ুম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আবদুল কাইয়ুম বলেন, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন এলাকা থেকে এবার কাছিমের ৮ হাজার ৫০০টি ডিম সংগ্রহ করা হয়। এসব ডিম থেকে জন্ম নেওয়া আড়াই হাজার কাছিম ছানা এরই মধ্যে কয়েক ধাপে সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে সাগরে অবমুক্ত করা কাছিম ছানাগুলো মাঝেরপাড়া এলাকার একটি হ্যাচারিতে ফোটানো হয়। এরপর সাগরের লোনাপানিতে ছাড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
টেকনাফসহ পুরো জেলার ১২টি পয়েন্ট থেকে এ বছর ২৫ হাজার ৭০০টি কাছিমের ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগ্রহ করা ডিমের ৮৫ শতাংশ থেকে বাচ্চা ফুটেছে। নেকমের দুজন কর্মী আলীর জোহার ও মো. ফয়সাল মিলে বড় বড় দু’টি প্লাস্টিকের বোলে ভরে সমুদ্রসৈকতে ছেড়ে দিলে এক এক করে ছানাগুলো সাগরে নেমে যায়। সমুদ্রের ময়লা-আবর্জনা ও আগাছা পরিষ্কার এবং মাছের পোনা খাদক জেলিফিশ খেয়ে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনন্য ভূমিকা রাখে কাছিম। বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দিকনির্দেশনায় নেকম ২০ বছর ধরে কাছিম সংরক্ষণে কাজ করে আসছে।
সম্প্রতি নেকমের একটি জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৩৪টি স্পটে সামুদ্রিক কাছিম ডিম পাড়তে আসছে, যা এক দশক আগেও ছিল ৫২টি। এ থেকে ধারণা করা হয়, সামুদ্রিক কাছিমের ডিমপাড়ার স্থানগুলো হুমকির মুখে পড়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস