বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

বরগুনার সেই পরিবারটির সঙ্গে ফোনে কথা বললেন তারেক রহমান

জেলা প্রতিনিধি, বরগুনা
প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২৫, ১০:০৩ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

বরগুনায় আলোচিত মন্টু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ভুক্তভোগী পরিবারকে ন্যায়বিচার পেতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং বিএনপি সবসময় তাদের পাশে থাকবে বলে জানান।

রোববার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরগুনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি কড়ইতলা এলাকায় নিহত মন্টুর বাড়িতে উপস্থিত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান।


বিজ্ঞাপন


এর আগে, বিকেল পাঁচটার দিকে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ মন্টুর পরিবারকে ছয় মাসের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। ওই একই সময়ে বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কয়েক দিনের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়।

তারেক রহমানের সঙ্গে ফোনালাপকালে মন্টুর স্ত্রী কে বলেন, আপনারা বাংলাদেশের নাগরিক। আপনাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে, তাই বিএনপি আপনাদের পাশে থাকবে। আপনারা যাতে ন্যায়বিচার পান, আমরা সেই সর্বোচ্চ চেষ্টাটি করব। ভয় পাবেন না, দেশের মানুষ ও বিএনপি আপনাদের পাশে আছে।

নিহতের স্ত্রী তার স্বামীর হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, মেয়ে ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে আমার স্বামী নিহত হয়েছে। এখন আমার তিনটি সন্তান নিয়ে কী করব? আমার তো কোনো নিরাপত্তা নেই।

কথার উত্তরে তারেক রহমান বলেন, আমি আমার নেতৃবৃন্দদেরকে বলেছি, আমার নেতৃবৃন্দ আপনার ওখানে যাচ্ছে। এছাড়াও আমান ওখানে আছে। আমাদের দলের আরও সিনিয়র নেতাদেরকে আমরা বলেছি আপনার ওখানে যাবে কথা বলবে। এবং আপনার কী কী সহযোগিতা প্রয়োজন আমাদেরকে বলবেন। কতটুকু পারবো জানি না তবে আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব আপনার পাশে দাঁড়াতে। আপনি যাতে আপনার আইনের শাসন পান, ন্যায় বিচার পান সে জন্য আমার দলের যারা উকিল আছেন তাদেরকে আমরা সেভাবেই নির্দেশনা দেব। যাতে আইনগত ভাবেও আপনাকে সহযোগিতা করা যায়।


বিজ্ঞাপন


নিহতের ঘটনার ৬দিন পার হলেও কোনো আসামি ধরা পরেনি এমন কথার জবাবে তিনি বলেন, আপনি টেনশন কইরেন না, আমরা দেখি আপনার জন্য কি ব্যবস্থা করতে পারি। বাচ্চাদেরকে নিয়ে যে টেনশনে আছেন ইনশাআল্লাহ আমরা একটা ব্যবস্থা করব আপনার জন্য। আমানসহ আমাদের অন্য নেতাকর্মীদেরকে বলেছি তারা আপনার ওখানে যাবে, আপনি তাদেরকে বলবেন কি সহযোগিতা প্রয়োজন। যতটুকু পারছি চেষ্টা করছি, সহযোগিতা করার জন্য। 

তারেক রহমান আরও বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় আইনজীবী ফোরামকে আমি নির্দেশনা দিচ্ছি তারা ব্যবস্থা নিবে। এছাড়াও দলীয়ভাবে বসে ভুক্তভোগী পরিবারকে যাতে বাচ্চাদের নিয়ে কষ্ট করতে না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ রাত ১টার দিকে বরগুনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি কড়ইতলা এলাকায় নিজ বাড়ির পেছন থেকে মন্টু চন্দ্র দাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

এর আগে, গত ৫ মার্চ মন্টুর সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় সিজীব চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই দিনই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মন্টুর মরদেহ উদ্ধারের পর সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করা হলেও পরে তিনজনকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় এবং একজনকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


News Hub