চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত। বর্তমানে তিনি জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে রয়েছেন এবং চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা।
আশিক কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা আরিফুল ইসলাম একজন দিনমজুর। আশিকের শরীরের ডান দিক প্যারালাইজড হয়ে গেছে, যার মধ্যে রয়েছে তার ডান হাত এবং বাঁ পাশের কাঁধের নার্ভ ড্যামেজ। তার চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন, কিন্তু অর্থের অভাবে পরিবারটি তা বহন করতে পারছে না।
বিজ্ঞাপন
গত দেড় বছর আগে আশিক প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হন। এরপর তিনি চট্টগ্রাম পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করান, যেখানে ডাক্তার তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন। প্রথমে চিকিৎসা কিছুটা চললেও আর্থিক সমস্যার কারণে ওষুধ নিয়মিত ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।
এরপর আশিক চট্টগ্রামের মেহেদীবাগের ম্যাক্স ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে চিকিৎসক ড. এস চক্রবর্তীর কাছে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তার তাকে ‘Erb's pulsy’ নামক প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করেন এবং দ্রুত বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এখন আশিকের দ্রুত চিকিৎসার জন্য ৪ লাখ টাকার প্রয়োজন, যা তার পরিবার দিতে অক্ষম। আশিকের শরীরের অবস্থা দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে তার ডান হাতের অবস্থা আরও জটিল হয়ে পড়েছে। চিকিৎসা না করা হলে তাকে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
আশিক তার পরিবার এবং প্রতিবেশীদের সহায়তার জন্য সাহায্য চেয়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাঠানোর জন্য ইসলামী ব্যাংক, পান্টি শাখার হিসাব নম্বর: ২০৫০৭৭৭৬৭০৬৪৩৬৯১০-এ অর্থ পাঠানো যেতে পারে। এছাড়া নগদ, বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে মোবাইল নম্বর ০১৯৭০০২৯৮২৪ বা ০১৯৭০০২৯৮২৪৯-এ সাহায্য পাঠানো সম্ভব।
আশিকের বাল্যবন্ধু রাশেদ মিয়া বলেন, “আশিকের উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ, আসুন আমরা সবাই আশিকের পাশে দাঁড়াই।”
আশিকের বাবা আরিফুল ইসলাম জানান, “আমরা গরীব মানুষ। আমাদের পরিবারের উপার্জন একমাত্র আমি, কিন্তু বর্তমানে আমি ও আমার স্ত্রী দুজনেই শারীরিকভাবে অসুস্থ। ছেলের চিকিৎসার জন্য সাহায্য পেলে সে সুস্থ হতে পারবে।”
উল্লেখ্য, আশিক কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার তুষার মালিয়াট গ্রামের মো. আরিফুল ইসলামের বড় সন্তান। তার ছোট বোন স্থানীয় কলেজে পড়াশোনা করছে। মা গৃহিণী এবং তারও শরীরে সমস্যা থাকায় কাজে গিয়ে আয় করা সম্ভব নয়।
এইউ