ফেনীর আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর যুবদল নেতা বেলাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শামসুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে র্যাব-৭ কোম্পানি অধিনায়ক উপ-পরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার মো. সাদেকুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতার শামসুদ্দিন দাগনভূঞা উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
নিহত বেলাল হোসেন দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ১নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
র্যাব-৭ জানায়, গোপন সূত্রে জানতে পারে এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শামসুদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানার আব্বাস পাড়ায় অবস্থান করছে। র্যাবের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে শামসুদ্দিনকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে মামলার ১নং আসামি ও স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করে। মামলা দায়েরের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্নস্থানে আত্মগোপনে ছিল।
বিজ্ঞাপন
ফেনীস্থ র্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফেনীর দাগনভূঞা থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে, ২৩ ফেব্রুয়ারি নিহত ভিকটিম ব্যক্তিগত কাজে তার নিজ বাড়ির সামনে সড়কে দাঁড়িয়েছিলেন এ সময় প্রতিবেশী খোরশেদের সঙ্গে পূর্ববিরোধ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে খোরশেদ আলম, শামসুদ্দিন ও অন্যান্য সহযোগীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, ক্রিকেট খেলার স্টাম্প, লোহার পাইপ দিয়ে পথরোধ করে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এসময় ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ভিকটিমকে মৃত ভেবে ঘটনাস্থল থেকে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দাগনভূঞা পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনায় নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে ফেনীর দাগনভূঞা থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলার দায়ের করেন।
প্রতিনিধি/ এজে