কুমিল্লার কাঁচা বাজার সবজির দাম কম থাকলেও ডিম,মাংস,মাছ, তেল ও মসলার দাম চড়া। সবজিতে ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন প্রকারের সবজি তাদের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে রয়েছে বলে ক্রেতারা জানান।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে কুমিল্লার বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষণীয়। বিশেষ করে চকবাজার,রাজগঞ্জ বাজার, বাদশা মিয়ার বাজার, নিউমার্কেট বাজার, টমটম ব্রিজ বাজার এর কাঁচা বাজার সমূহ ঘুরে দেখা গেছে, বড় আকারের বাঁধাকপি প্রতি পিসের মূল্য ৪০ টাকা,নতুন ডায়মন্ড আলু প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সিমের বিচি খাইাস্সা প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, মিষ্টি আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, মটরশুঁটি খোসাসহ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা এবং খোসা বিহীন মটরশুঁটি ১০০ টাকা দারে বিক্রি হচ্ছে, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, ধনেপাতা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে, ব্রুকলি প্রতি পিস প্রকার ভেদে ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, দেশি শসা প্রতি কেজি প্রকারভেদে চল ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, বিটরুট প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া হাইব্রিড টমেটো ও দেশি টমেটো প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, ডাটার আঁটি ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ২৫ টাকা, গাজর প্রতি ২০ টাকা, বড় বড় সাদা মুলা এক হালি ২৫ টাকা, খিরা প্রতি কেজি ২০ টাকা,বড় লাউ প্রতি পিস ৩০ টাকা, তাল বেগুন প্রতি কেজি ৭০ টাকা,লম্বা বেগম প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে , লেবু প্রতি হালি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০টাকা, কুমড়ার শাকের আঁটি প্রতিটি ৩০ টাকা, কুমড়ার ফুল আঁটি প্রতিটি ১০ টাকা, পালং শাকের প্রতিটি ২০ টাকা, টক পালং প্রতিটি আঁটি ২০ টাকা, লালশাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা, লাউশাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা, কচুর ডোগার আঁটি ২৫ টাকা, পুঁইশাক প্রতি আঁটি ২০ টাকা, কাঁচকলার হালি ২০ টাকা, কুমড়ার শাক প্রতি আঁটি ২০ টাকা, টক পালং শাক প্রতি আঁটি ২৫ টাকা, বিচি সিম প্রতি কেজি ৩০ টাকা পুদিনা পাতার কেজি ৪০০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ১০০ টাকা চাল কুমড়া প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল করিম জানান, আমি রাজগঞ্জ বাজারে ২৬ বছর ধরে তরকারি বাজারের তরকারি বিক্রি করছি। বর্তমানে সবজির দাম কুমিল্লায় ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকার কারণে বাজারে ক্রেতাদের সমাগম বাড়ছে। এতে করে তারা শীতকালীন সবজি কেনাকাটা করে নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে হোটেলের মালিকরা প্রচুর পরিমাণে সবজি নিচ্ছে সবজি হওয়ার কারণে এবং সাধারণ মানুষ সবজির দাম নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করছে।
বিজ্ঞাপন
চক বাজারে দোকানদার আব্দুল আউয়াল বলেন আমি প্রায় ৩২ বছর ধরে কুমিল্লা চকবাজারে সবজি বিক্রি করছে এখন সবচেয়ে দাম কম থাকার কারণে ক্রেতারা সবজি বাজারে থেকে সবজি কিনে নিয়ে কিনে যান। তেলের দাম বেশি হলেও মসলার বাজারও মোটামুটি ভোক্তাদের অনুকূলে রয়েছে। সয়াবিন তেল ২০০ টাকা লিটার, ছোলা বুট ১২০ টাকা, খেসারি ডাল ১২০ টাকা, মসুরি ডাল ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা, এলাচি ৪০০০ টাকা, হলুদ ৪০০ টাকা কেজি, শুকনা মরিচ ৪৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ থেকে প্রকার ভেদে ৭০ টাকা, আদা প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, রসুন প্রকার ভেদে ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, জিরা ৭০০ টাকা।
গরুর মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, সোনলী মুরগি ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এবং ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে তেলাপিয়া মাছ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, কাতল মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, এবং রুই মাছ ৩৫০ টালা থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম বেশি প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা।
চকবাজারে বাজার করতে আসা কথা হয় মোহাম্মদ বাবুলের সঙ্গে তিনি জানান, বর্তমানে বাজারের সবকিছু চেয়ে সবচেয়ে সবজির দাম খুব সস্তা। তাই আমরা যার নিম্ন মধ্যবর্তী ফ্যামিলির তারা সবজি ক্রয় করে থাকি। মুরগির দামও হাতের নাগালে রয়েছে।
কথা হয় বাজার করতে আসা মাহমুদা আহসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি অফিস থেকে ফেরার পথে চকবাজার থেকে বাজার করি।
এখানে সবজি অনেক সস্তা তাই প্রতি বেলায় রান্না করা এক প্রকার সবজি রাখি। এছাড়া তেল, গরুর মাংস আরও কয়েকটি মসলা ছাড়া বাজারের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বলেন, রমজান মাস থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত আমরা প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করছি। পুরো রমজান মাসব্যাপী আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সভাপতি শাহ মো. আলমগীর খান বলেন, বাজারে আমদানি বেশি তাই বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস