শেরপুরে পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, গুনগত মানহীন পণ্য বিক্রি, মজুদ করে কৃত্রিম সংকটসহ ভোক্তাদের হয়রানি রোধে বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকিতে নেমেছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) শহরের গৌরিপুর এলাকা ও সদর উপজেলার হাতিআলগা এলাকার দু’টি মুড়ি কারখানা এবং সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি বাজারের নিত্যপণ্যের পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা দোকান, কাঁচাবাজার ও ফলের দোকানগুলোতে পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়।
বিজ্ঞাপন
অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২মুড়ি কারখানার মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ও ভ্রাম্যমাণ আদালত জেলা বাজার মনিটরিং টিমের কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব সরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- মনিটরিং টিমের সদস ক্যাব শেরপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মনিবুল ইসলাম। বাজার মনিটরিং টিমকে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা পুলিশের একটি দল এবং কালেক্টরেট জিএম শাখার সাপোর্ট স্টাফরা। মনিটরিংকালে উৎপাদিত পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ এবং বিক্রয়মূল্য লেখা না থাকার অভিযোগে শহরের গৌরিপুর এলাকার আকবরিয়া অটো মুড়ি ও চিড়াকল পরিচালক ইমরান হোসেনকে ৫ হাজার টাকা এবং সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের হাতিআলগা এলাকার নাহিদ অটো মুড়ি ও চিড়াকল মালিক মনিরুজ্জামানকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাজার মনিটরিংকালে টিমের সদস্যরা বাজারের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের সাথে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দোকানে পণ্যের দাম, মান, মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও পণ্যের সরবরাহ ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এসময় বাজার দর, ব্যদবসায়িক লাইসেন্স, বিক্রয় মুল্য তালিকা, ক্রয় রশিদ ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা পর্যবেক্ষণ করা হয়। রমজান মাসে ভোক্তা সাধারণ যাতে কোনোভাবে প্রতারণার সম্মুখীন না হন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেইসাথে ফলমুল এবং সয়াবিন তেল, লেবু, শসা, কাঁচামারিচ, বেগুনের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি অবলোকন করে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং সহ যৌক্তিক লাভ বিবেচনায় সহনীয় মূল্যে দ্রব্যমূল্য বিক্রীর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে