মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

গাজীপুরে বাস থেকে অটোরিকশার চালককে ফেলে হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর
প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০২৫, ১২:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

গাজীপুরে বাস থেকে অটোরিকশার চালককে ফেলে হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের গাড়ি থেকে ফেলে এক অটোরিকশার চালককে হত্যার অভিযোগে হত্যা মামলা নেওয়া, হত্যাকারী স্টাফদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন অটোচালকরা।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি এলাকায় এ অবরোধের ঘটনা ঘটে। পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে প্রায় তিন ঘণ্টা পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। অবরোধের কারণে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


নিহত অটোরিকশা চালক লিটন মিয়া নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার  দুলাল মিয়ার ছেলে ।

আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকদের দাবি, গতকাল সোমবার বিকেলে অটোরিকশা চালক লিটন তার অটোরিকশা নিয়ে মাস্টার বাড়ি এলাকায় গেলে তাকওয়া পরিবহনের এক বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দিয়ে লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলে। এনিয়ে বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে অটোরিকশা চালক লিটন অভিযুক্ত তাকওয়া পরিবহনের বাসে উঠে পড়েন। এক পর্যায়ে বাসটি নতুন বাজার এলাকায় পৌঁছালে ধস্তাধস্তি করে চলন্ত বাস থেকে লিটনকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দায়ীদের শাস্তি ও হত্যা মামলা নেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।

নিহতের স্ত্রী শরমিন বেগম বলেন, গতকাল বিকেলে গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের স্টাফের সঙ্গে আমার স্বামীর বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এরপর স্বামীকে তাকওয়া পরিবহনের স্টাফরা জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তুলে নেয়ার দুঘণ্টা পর ঘটনাস্থলের দেড় কিলোমিটার দূরে স্বামীর মরদেহ পড়ে থাকার খবর পাই। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে স্বামীর হাত পায়ের রগ টাকা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই।

নিহতের ছোট ভাই মো. আজিজুল অভিযোগ করে বলেন, ভাইকে তুলে নিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। আমরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে গড়িমসি শুরু করে। রাতভর থানায় অবস্থান করেও মামলা নেয়নি পুলিশ। আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্রে আঘাতে খুন করলো অথচ মামলা করার পরামর্শ দেন সড়ক দুর্ঘটনার। এজন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও অটোরিকশা চালকরা সড়ক অবরোধ করে।


বিজ্ঞাপন


ইমাম পরিবহনের চালক মোখলেছুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা ধরে সড়কে আটকা রয়েছি। সড়কে হাজার হাজার মানুষ অবরোধ করেছে। গাড়িতে যাত্রীরা খুবই ভোগান্তিতে আছে।

 

এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, অটোরিকশার চালক লিটন হত্যার বিচার দাবিতে অটোরিকশার চালকরা সকালে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিলে যান চলাচল শুরু হয।

তিনি আরও বলেন, বাস থেকে লিটনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ভাই বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় বাসের চালক জনি মিয়াকে গ্রেফতা ও বাস জব্দ করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টাসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

প্রতিনিধি/টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর