পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে চাঁদপুরে গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু সরেজমিন গিয়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যেই অধিকাংশ ব্যবসায়ীকে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত শহরের বিপনীবাগ ও নতুন বাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বাজার দর।
বিজ্ঞাপন
এর আগে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সবার সম্মতিক্রমে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৮০, খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ ব্রয়লার মুরগি ১৮০, সোনালি (কক), ২৭০ টাকা ও ডিম প্রতি পিস ৯.৫০ পয়সা নির্ধারণ করা।
এদিকে দাম নির্ধারণের ২৪ ঘণ্টা পরেও আগের দামেই পণ্য বিক্রি করছেন অনেক ব্যবসায়ী।
শহরের বিপনীবাগ বাজারে আনোয়ার হোসেন আনুর গোশতের দোকানে গরুর মাংস ৭০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ওই দোকানের মালিক আনু বলেন, আমরা ৬৮০টাকা বিক্রি করব। মূল্যতালিকা আজই পরিবর্তন করা হবে। একই দোকানে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১শ টাকায়।
বিজ্ঞাপন
ওই বাজারের দ্বীন ইসলামের ব্রয়লার হাউজে ব্রয়লার প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা, সোনালি (কক) প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে রাসেল খান ব্রয়লার হাউজে। রাসেল খান বলেন, দাম নির্ধারণের পূর্বে মুরগির পরিবেশকদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন ছিল। প্রশাসন থেকে দাম নির্ধারণ করা হলেও আমরা ওই দামে বিক্রি করতে পারছি না।
একই বাজারে আব্দুর রহমান, তারেক ও নুরু স্টোরে প্রতি কুড়ি ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০টাকা। প্রতি কুড়ি ডিম নির্ধারিত মূল্য থেকে ১০ থেকে ২০টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এই বাজারে।
শহরের নতুন বাজার নির্ধারিত মূল্যের সঙ্গে বিক্রি মূল্যের উল্টো চিত্র। এই বাজারে পাশাপাশি দু’টি ব্রয়লার হাউজ। কালুর ব্রয়লার হাউজে ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৯০ টাকা, কক প্রতিকেজি ২৬০ টাকা। এই দোকানের এক দোকান পরে আল-আমিন ব্রয়লার হাউজ প্রতিকেজি ব্রয়লার ২০০ টাকা এবং কক প্রতিকেজি ৩০০ টাকা।
ব্যবসায়ী কালু জানালেন, কেনার ওপর নির্ভর করে বিক্রি করা হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী আল-আমিন বলেন, আমাদের ক্রয়মূল্য বেশি এজন্য বিক্রিও বেশি। প্রশাসনের কোনো নির্দেশনা পাইনি।
এই বাজারের গোশতের ব্যবসায়ী সেলিমের দোকানে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি। তারা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের নির্দেশনা পাননি। যদি নির্দেশনা পান তাহলে ওই মূল্যে বিক্রি করবেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত। যেসব বাজারে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে বিক্রি করবে, সেখানে আমাদের অভিযান হবে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি ক্রেতাসহ সবাইকে সচেতন হবে।
প্রতিনিধি/এসএস