শরীয়তপুর সদরে বিয়ের দাওয়াত দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কাজিকান্দি এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
শরীয়তপুর পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন— বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান কাজী (৫০), মনোয়ার কাজী (৩২), সাবেক ইউপি সদস্য বোরহান কাজী (৫০), আজিজুল সরদার (৫০), সামসুল হক সরদারের (৬০)। অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি কাজিকান্দি এলাকার ইমামুল হক সরদারের (এনামুল) মেয়ের বিয়ে হয়। সেই বিয়েতে স্থানীয় আজিজুল সরদারের পরিবারকে দাওয়াত দেননি। আজিজুল সরদারের ছেলের বিয়ে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি এই বিয়েতে এনামুল সরদারের পরিবারকেও দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এনামুল ও আজিজুল সম্পর্কে আপন ভাই। এঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এনামুল সরদারের লোকজন আজিজুল সরদারের বাড়িতে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল বলে জানা যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি বলে জানায় পুলিশ।
আজিজুল সরদারের পক্ষের লোক স্থানীয় ইউপি সদস্য আহত আব্দুর রহমান কাজী বলেন, এনামুল তার মেয়ের বিয়েতে আমাদের দাওয়াত দেয়নি। তাদের আমরা দাওয়াত দিব, তবুও তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এনামুল সরদার, খলিল মাদবরের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন লোক আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালায় এবং আমাদের ৫ জনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে আহত করে।
বিজ্ঞাপন
তবে, এনামুল সরদারের পক্ষে তার ভাই আহত সামসুল হক সরদার বলেন, এই ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে আসলে আমার ওপর হামলা চালনো হয়। আমার মাথায় ও হাতে জখম হয়েছে। ওই হামলায় আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। যেহেতু পারিবারিক ঘটনা, তাই দু-পক্ষই থানায় এসেছেন।
প্রতিনিধি/টিবি