দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন বলা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে। দেশের অন্যান্য মহাসড়কগুলোর তুলনায় এ মহাসড়ক দিয়ে দ্বিগুণ যানবাহন চলাচল করে। হাইওয়েতে যানবাহন যেন বিঘ্ন না ঘটে এবং যানজটের সৃষ্টি না হয় তা তদারকি করা হাইওয়ে পুলিশের অন্যতম কাজ।
কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম জানান, গত এক বছরে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৭১টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। ওই সব সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫২ জন এবং আহত হয়েছেন ১৩৭ জন। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে এক বছরে এসব দুর্ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক মামলা হয়েছে ১৩৮টি। হাইওয়েতে চলাচলকারী যানবাহন সম্পর্কিত অভিযোগ করা হয়েছে ৮৮টি। এরমধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে ৫০টি।
বিজ্ঞাপন
মহাসড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় গত এক বছরে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক গাঁজা আটক করা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কেজি। যার বাজার মূল্য ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০ টাকা। ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেনসিডিল আটক করা হয় ২০ বোতল যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৬ হাজার টাকা।
![]()
মহাসড়কে চলাচলে নিষিদ্ধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটক করা হয়েছে ২ হাজার ৪৫টি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আটক করা হয়েছে ১ হাজার ৩৫৬টি। রিকশা আটক করা হয়েছে ১ হাজার ৬৩৪টি এবং অন্যান্য যানবাহন আটক করা হয়েছে ২১টি।
বিজ্ঞাপন
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিওনের ডিআইজি খাইরুল আলম জানান, হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা বাড়াতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কসহ অন্য মহাসড়কে কোনো কারণে গাড়িকে জরিমানা করা হলে তা শুধুমাত্র ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপ ব্যাংকিং উপায় দিয়ে করা হতো। এখন ২১টি মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ ও রকেটসহ বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করে তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিনিধি/এসএস

