নড়াইল সদর উপজেলায় এক বিধবা বৃদ্ধার জমি দখল করে ঘরবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চণ্ডিবরপুর ইউনিয়নের রতডাঙ্গা গ্রামে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শুভা রাণী বিশ্বাস (৫৫) নড়াইল সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা একই গ্রামের মৃত গোবিন্দ অধিকারীর ছেলে শুসান অধিকারী ও সমীর অধিকারী।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৯ শতক জমির ওপর থাকা দু’টি ঘর ভেঙে সেখানে নতুন করে ঘর করছেন শুসান অধিকারী৷
ভুক্তভোগী শুভা রানী অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্ত শুসান ছোটবেলা থেকে শুভা রানীদের বাড়িতে থেকে তাদের জমিতে কাজকর্ম করতেন। বছরখানেক আগে শুভা রাণীর স্বামী মারা যান৷ এরপর থেকে শুভা রাণী একাই বসবাস করতেন৷ একপর্যায়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি শুসান ও সমীর লোকজন নিয়ে শুভা রাণীর বাড়িতে এসে তার ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলেন। এসময় শুভা রাণী বাড়ি ভাঙতে বাঁধা দিলে শুসান বলেন, তোমার স্বামী আমার জমি লিখে দিয়েছে, তোমরা আমাদের বাড়ি খালি করে দাও। বাধ্য হয়ে ওইদিনই শুভা রাণী নড়াইল সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
বিজ্ঞাপন
শুভা রাণী বলেন, আমার স্বামী জমি লিখে দিলে তো আমি জানতাম। ওরা জাল দলিল করে জমি দখল করেছে। এ নিয়ে আদালতে ৩-৪ বছর ধরে মামলাও চলছে। আদালত এখনও কোনো রায় দেয়নি। ঘরবাড়ি ভাঙতে এলে আমি বাঁধা দিয়েছিলাম, ওরা শোনেনি। পরে থানায় অভিযোগ দিয়ে এসে দেখি, ঘরের মেঝের মাটি পর্যন্ত কেটে ফেলেছে। গাছগাছালি কেটে ফেলেছে। বাধ্য হয়ে ওইদিনই শুভা রাণী নড়াইল সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও এখনও কোনো প্রতিকার পায়নি। তারা আমার জমিতে ঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন। আমার নিজের ভিটায় ফিরতে থানাসহ এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত শুসান বলেন, ঘরবাড়িসহ এই জমি আমার কেনা। আমার ঘর-দরজা নষ্ট হয়ে গেছে, তাই ভেঙে নতুন করে ঘর করতেছি। জমির মালিকানা নিয়ে চলমান বিষয়টি স্বীকার করে শুসান বলেন, আমার জমিতে উঠতে না দেওয়ার জন্য মিথ্যা মামলা করেছে। মামলায় এখনও কারও পক্ষে রায় হয়নি। কিন্তু আদালত আমাকে জমিতে উঠতেও নিষেধ করিনি। তাই আমার বাড়ি আমি ভাঙছি।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বিট অফিসার প্রেরণ করি। জানা যায় নিজেরা নিজের বাড়ি ভেঙে ঘর তৈরি করছে, জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে।
প্রতিনিধি/এসএস