শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

কুমিল্লায় নামাজ চলাকালীন মসজিদে ঢুকে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৪

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২২ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও মারধরের জেরে পবিত্র শবে বরাতে কুমিল্লার দেবিদ্বারে নামাজ চলাকালীন একটি মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় মসজিদের সেক্রেটারিসহ চারজন আহত হয়েছেন।  

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড ফতেহাবাদ দক্ষিণ পাড়া বায়তুল আকসা জামে মসজিদে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মসজিদের সেক্রেটারি মো.ইব্রাহীমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে। অন্য আহততের দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। 


বিজ্ঞাপন


প্রত্যক্ষদর্শী মসজিদের মুসল্লিরা জানান, এক মাস আগে মাঠে ক্রিকেট খেলা নিয়ে পার্শ্ববর্তী নয়াকান্দি গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে ফতেহাবাদ দক্ষিণপাড়া গ্রামের ছেলেদের মারামারি হয়। ওই মারামারিকে কেন্দ্র আজ বিকালে নয়াকান্দি গ্রামের একজনকে মারধর করা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে নয়াকান্দি গ্রামের ছেলেরা ফতেহাবাদ গ্রামের কামরুলকে রাস্তায় পেয়ে মারধর করে। এসময় কামরুলের সঙ্গে থাকা অন্য ছেলেরা প্রাণভয়ে দৌড়ে এসে মসজিদের ভেতরে ঢুকে পড়লে নয়াকান্দি গ্রামের ছেলেরা তাদের মসজিদে খুঁজতে এসে নামাজরত মুসুল্লিদের এলোপাতারি মারধর করেন এবং ভাঙচুর চালান।    

তাদের বাধা দিলে তারা মসজিদের সেক্রেটারি ইব্রাহীমকেসহ চারজন পিটিয়ে আহত করা হয়। এ পর্যায়ে মসজিদের ইমাম মসজিদের মাইক দিয়ে ঘোষণা দেন মসজিদে ডাকাত পড়েছে। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।   

মসজিদের ইমাম মাও. আবদুল আউয়াল বলেন, ১০/ ১২ জন ছেলে হঠাৎ মসজিদে ঢুকে এলোপাতারি মসজিদের গ্লাস, দরজা জানালা ভাঙচুর চালায়। তাদের প্রত্যেকের হাতে রড, হকিস্টিক ও পাইপ ছিল। মসজিদের সেক্রেটারি ইব্রাহীম বাধা দিলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত  করা হয়। পরে আমি মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত পড়েছে’ ঘোষণা দিলে তারা পালিয়ে যায়।   

ঘটনার প্রত্যাক্ষদর্শী আহত কামরুলের চাচাত ভাই শাফাতুল ইসলাম রাব্বি বলেন, আমরা মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য আসছিলাম। পথে নয়াকান্দি গ্রামের ইমন, মনির, সাকিব, আবু তাহের, মাসুদ, সাইদুল জিহান, তাইদুল ও রাব্বি আমাদের আটকিয়ে মারধর করে। আমরা ভয়ে দৌড়ে এসে মসিজদে ঢুকি। তারা আমাদের খুঁজতে এসে মসজিদ ভাঙচুর করে। 


বিজ্ঞাপন


মসজিদের সভাপতি সাবেক কমিশনার আবুল কাশেম বলেন, আমরা মসজিদে নামাজ পড়ছিলাম। হঠাৎ দেখি একদল ছেলে মসজিদের বাহিরে চারদিকে গ্লাস, দরজা-জানালা ভাঙচুর করছে। এদের কয়েকজন মসজিদের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। পরে শুনেছি ক্রিকেট খেলা নিয়ে আগের মারামারিকে কেন্দ্র হামলার ঘটনা ঘটেছে।  

দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, মসজিদ ভাঙার উদ্দেশ্যে হামলা হয়নি। ক্রিকেট খেলা নিয়ে পূর্ব থেকে দুই পক্ষের মারামারি ঘটনায় একপক্ষের ছেলেরা মসজিদ ভাঙচুর করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে. এ ঘটনায় কেউ মামলা দায়ের করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর